Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারাগার সম্প্রসারণ নয়, প্রয়োজন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি

মতবিনিময় সভায় কাজী রিয়াজুল হক

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, অনেকে কয়েদির সংখ্যা বিবেচনায় কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বলেন। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বন্দিদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যকই রায়ের মাধ্যমে দোষী হয়ে কারাগারে রয়েছে। তাই কারাগারের ধারণক্ষমতা না বাড়িয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত। গতকাল বুধবার সুপ্রিমকোর্টের সভা কক্ষে বুধবার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে ‘সুপ্রিমকোর্টে আইনত সহায়তা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ও  বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এই সভার আয়োজন করে।
কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ডাকাতির মামলায় ২৫ বছর জেল  খেটেছেন। এই মামলায়  দোষী হলেও সর্বোচ্চ তার ১৪ বছরের সাজা হতো। কিন্তু বিচার ছাড়াই তার  চেয়ে বেশি সাজা খাটতে হয়েছে। জীবন থেকে এই যে সময়টা চলে  গেল এটা  কে  দেবে! তাই আমি মনে করি, যারা বন্দি থাকে তারা কারাগারে যে কাজ করে মুক্তির সময় তাদের সেই শ্রমের টাকা পরিশোধ করে  দেয়া উচিত। যাতে কারাগার থেকে  বের হওয়ার পর তারা  সেটা দিয়ে কিছু করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল এইড মানে শুধু আইনি সহায়তা পাওয়াটা কারো জন্য বদান্যতা নয়। বরং এটা একটা মানুষের অধিকার। রাষ্ট্র সেই অধিকার প্রদানে দায়বদ্ধ। আগামী বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার আহŸানও জানান কাজী রিয়াজুল হক। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের  চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম  কোর্টের  রেজিস্ট্রার  জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।  
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেছেন, যদি সরকার ও এনজিও একসঙ্গে মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানে কাজ করে, তবে মানুষ আরও সুফল পাবে।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ