Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মাওবাদী দমনে কৌশল বদলের ইঙ্গিত ভারতের

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মৃত জওয়ানদের বাড়িতে গেলেন মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক : ছত্তিশগড়ের হামলার প্রেক্ষিতে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। গতকাল ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। প্রথমে ছত্তিশগড়ে গিয়ে মৃত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজও নেন রাজনাথ সিংহ। পরে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। তারপর রাজনাথ আশ্বাস দেন, মাওবাদীদের ওপর এবার আরও কঠোর পন্থা অবলম্বন করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজনাথ বলেন, বীর জওয়ানদের বলিদান বিফলে যাবে না। রাজনাথ মনে করিয়ে দেন, বাহিনীর জবাব মাওবাদীদের হামলার কয়েক গুণ হবে। বলেন, আমি মনে করি, সুকমার লড়াই হল দেশে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়া বাহিনীর সর্ববৃহৎ লড়াই। তাই, এবার বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি উন্নয়নের কাজ আরও জোরদার করা হবে।
রাজনাথ যোগ করেন, মাওবাদী-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকে নিয়ে আগামী ৮ মে এক বিশেষ বৈঠক হবে। সেখানেই মাওবাদ-সমস্যার মোকাবিলা করতে কী কী করণীয় সেই কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। গত সোমবারের হামলাকে রাজনাথ ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, এটা কাপুরুষোচিত ও হতাশাজনক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, ছত্তিশগড়ে যে বিপুল পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, তাতে মাওবাদীরা দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে সেই উন্নয়ন কাজ বিঘিœত করতেই এই হামলা করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, এর জন্য উপজাতিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মাওবাদীরা।
মৃত জওয়ানদের বাড়িতে গেলেন মমতা
শোকে ভারী পরিবেশ। কান্নার রোল। যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তা যেন এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। সুকমায় মাওবাদী হানা কেড়ে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের তিনজন জওয়ানের প্রাণ। যার মধ্যে দুজন কোচবিহারের বাসিন্দা। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে, তাদের সমবেদনা জানাতে জওয়ানদের বাড়িতে যান জেলা সফররত মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারের বিবেকানন্দ স্ট্রিটের বাসিন্দা কৃষ্ণকুমার দাস। সিআরপিএফ-এর সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন তিনি। তার বাড়ি যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দোসরা এপ্রিলই বিয়ে হয় কৃষ্ণকুমার দাসের। কাজের খাতিরে দায়িত্বের দায়ে এরপরই চলে যান সুকমায়। কে জানত, এভাবে সব শেষ হয়ে যাবে! নিহত আরেক জওয়ান বিনয়চন্দ্র বর্মনও কোচবিহারের বাসিন্দা। তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়িতেও যান মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। সূত্র : এবিপি আনন্দ ও জি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ