পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল হক শারেক, কক্সাবজার অফিস : কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়ক উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত হবে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এতে খুলে যাবে অপার সম্ভাবনার পর্যটনের অবারিত দুয়ার।
আর মেরিন ড্রাইভ সড়ক উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ। এ লক্ষ্যে শেষ মুহূর্তে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন ১৬ ইসিবি। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকারের সময়ে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কটির ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। তখন প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। ওই সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্ট থেকে সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করে। সওজ বিভাগের ঠিকাদার কর্তৃক নির্মিত কলাতলী মোড় থেকে পাইওনিয়ার হ্যাচারি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক সাগরের প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে সাগরে বিলীন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীর প্রকৗশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নকে। বর্তমানে সড়কটি ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য থেকে বেড়ে ৮০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে নব উদ্যমে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কাজের গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের সদস্যরা মূল সড়ককে তিন ধাপে ভাগ করে প্রথম ধাপে কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে ইনানী থেকে শিলখালী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ও তৃতীয় ধাপে শীলখালী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মাণাধীন মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশে থাকবে ওয়াকওয়ে, পর্যটকদের সুবিধার্থে থাকবে সড়কজুড়ে ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট, শেড, বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিং ও মহিলা পর্যটকদের চেঞ্জিং রুম। ৮০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তিনটি বড় আরসিসি সেতু, ৪২টি কালভার্ট, ৩ হাজার মিটার সসার ড্রেন ও ৫০ হাজার মিটার সিসি বøক ও জিও টেক্সটাইল থাকবে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, মূল প্রকল্পের কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বলেন ‘কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি প্রথমে জেলা শহর থেকে উখিয়া উপজেলার ইনানী পর্যন্ত নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নবম জাতীয় সংসদে প্রস্তাব দিই, সড়কটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য। এর পরিপেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এখন সড়কটি শুধু কক্সবাজার বা গোটা দেশের নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় ও নান্দনিক একটি সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটি উখিয়া-টেকনাফের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে দেবে। পিছিয়ে থাকা এই জনপদ সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিকভাবে। পুরো দেশের পর্যটনের বিকাশের ক্ষেত্রে এই সড়ক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
আশা করা হচ্ছে এই মেরিন ড্রাইভ সড়কটি উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৬ মে কক্সবাজার সফর করছেন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়াদকালে ৫মবারের মতো কক্সাবজার আসছেন বলেও জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।