পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের সর্ববৃহত্তম বনাঞ্চল উখিয়া বনরেঞ্জের আওতাধীন ১৯ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই শত শত ঘনফুট অবৈধ কাঠ চেরাই করে দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করছে পাচারকারীরা। এসব অবৈধ কাঠ চেরাইয়ের জন্য রয়েছে উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রায় অর্ধশত অবৈধ মিনি স’মিল। এসব স’মিলে চেরাইকৃত চোরাইকাঠ স্থানীয় হাটবাজারে অবাধ বিক্রি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক পথে ওপেন সিক্রেট পাচার হয়ে থাকলেও দেখার বা বলার কেউ নেই। যার ফলে এ উপজেলার অভয়ারণ্য ধ্বংসের দ্বারপ্রাপ্তে উপনীত হয়ে বিলুপ্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র। পাশাপাশি সামাজিক বনায়ন প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের অভিযোগ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের সর্ববৃহত্তম অভায়ারণ্য হিসাবে সরকার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এখানে বৈধ স’মিল স্থাপনের কোন অনুমতি দেয়নি। ১৯৮৭ সনে তৎকালীন সরকার লড নিলাম প্রথা বন্ধ করে দেয়ার পরে এলাকার এক শ্রেণীর কাঠ ব্যবসায়ী তাদের পেশা ধরে রাখার জন্য চোরাইপথে কাঠ পাচার শুরু করে। এ সময় ওইসব ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে ২/৩টি অবৈধ স’মিল বন বিভাগের কর্তা-ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে স্থাপন করলেও বর্তমানে অবৈধ স’মিলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অর্ধশত। তৎমধ্যে পালংখালীতে ৪টি, থাইংখালী এলাকায় ৩টি, বালূখালীতে ৪টি, ফলিয়াপাড়ায় ৪টি, হাজীর পাড়ায় ৪টি, রাজাপালং ২টি, কোটবাজার ২টি, ঝাউতলা ৩টি, মরিচ্যায় ২টি, পাতাবাড়ীতে ১টি, ও পাইন্যাশিয়া গ্রামে ১টি সহ প্রায় অর্ধশত স’মিলে নিয়মিত চিরাই হচ্ছে বন রেঞ্জের চোরাই কাঠ। পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের গাছ-গাছালি প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ কাঠ চোর চক্র রাতের আঁধারে কর্তন করে এসব স’মিলে চিরাই করছে।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও উপকারভোগী মৌলভী বখতিয়ার আহমদসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, একমাত্র অবৈধ স’মিলের কারণে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
উখিয়ার বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত স’মিলগুলো উচ্ছেদ করে বন সম্পদ রক্ষায় উদ্যোগ নিয়ে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি জোড়ালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪টি অবৈধ করাতকল জব্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: আলী কবির জানান, বনবিভাগের লোকশুন্যতা সত্তে¡ও গাছ কর্তন, পাচার, স’মিল বসিয়েছে এমন খবর জানার সাথে সাথে অভিযান চালানো হয়। কোন সময় দুর্বৃত্তদের হাতে নাতে গ্রেফতারও করা হয়। তাদের ধরতে গিয়ে বনবিভাগের লোকজন আহত হওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে। তিনি জানান, স’মিল উচ্ছেদ করার পর তারা আবারও চুরি করে মিল স্থাপন করে চোরাই কাঠ চেরাই করছে। এ ব্যাপারে যথাশীঘ্র জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।