পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দয়াময় আল্লাহ তায়ালা স্থান, কাল ও মানব জ্ঞানের ঊর্ধ্ব জগতে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে দূরত্বহীন নৈকট্যে উপনীত করে তাঁর প্রিয়তম মহান রাসূল (সা:) কে সাক্ষাৎ দানের মাধ্যমে সর্বসৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর প্রথম অতুলনীয় মহাপ্রকাশের চির গৌরবময় পবিত্র ঈদে মেরাজ শরীফ। এ পবিত্র ঈদে মেরাজ শরীফের মহান তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের উদ্যোগে গতকাল ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সে পবিত্র মেরাজ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের প্রধান বক্তা ইমাম হায়াত বলেন, মহান মেরাজ শরীফ প্রিয় নবীর নিকট স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার মহিমাময় প্রত্যক্ষ প্রকাশ এবং প্রিয় নবীর মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির নিকট রহমতময় পরোক্ষ প্রকাশ। আল্লাহ তায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতায় মহান প্রিয় নবীকে স্থান, কালের ঊর্ধ্বে তাঁর পরম নৈকট্যে পৌঁছিয়ে তাঁর পবিত্র মহাসত্তার নূর ও তাজাল্লিতে মিলিত করে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের আলো, জীবনের কেন্দ্র এবং সর্বজ্ঞান, সর্বগুণ ও সর্বকল্যাণের উৎস রূপে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সঠিক লক্ষ্য ও দিশায় ঈদে মেরাজ শরীফ উদযাপনের মধ্যে নিহীত জীবন ও জগতের সত্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠা এবং সমগ্র মানবমন্ডলীর দো-জাহানের সার্বিক কল্যাণ।
ইমাম হায়াত বলেন, আল্লাহ তায়ালার সকল অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে শোকরিয়া ও খুশি তথা ঈদ পালন মহাকল্যাণকর হিসেবে উল্লেখ করে তাকিদ রয়েছে (সুরা: ইউনুস, আয়াত-৫৮)।
সমাবেশে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তফসিরে মাশাহেদুল ঈমানের প্রণেতা ও ইমামে আহলে সুন্নাত, পীরে হাক্কানি, হজরত আল্লামা ছৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহান মেরাজ শরীফের মহিমা ও দিশা ব্যাখ্যা দেয়া এবং মহান মেরাজের দিনে রাষ্ট্রীয় ছুটির আবেদন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মুক্ত মানবতার অখন্ড বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক হজরত ইমাম হায়াত। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা আবেদ শাহ মোজাদ্দেদী (র:) এর সাহেবজাদা পীর আল্লামা সৈয়দ জাহান শাহ, শাহ মো. জামাল উদ্দিন পীর সাহেব কুতুবিয়া দরবার (বন্দর নারায়ণগঞ্জ), অধ্যাপক আল্লামা ড: আতাউর রহমান মিয়াজী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা ড: সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল-মারুফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা ড: নুরুন্নবী (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী (হাক্কানি আঞ্জুমান হেলালীয়া দরবার শরীফ, ঢাকা), ওস্তাজুল ওলামা হাফেজ আল্লামা আব্দুস সাত্তার (প্রাক্তন অধ্যক্ষ-কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া মাদরাসা, ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা আলমগীর হোসাইন যুক্তিবাদী (মহাসচিব, জাতীয় ইমাম সমিতি, মালিবাগ-ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী (দারুল হাবীব জামেয়া ইসলামীয়া, কুতুবখালী-ঢাকা )
ইমাম হায়াত বলেন, পবিত্র মেরাজ হুকুমগত বিধিবদ্ধ নির্ধারিত পদ্ধতিগত আনন্দ (ঈদ) নয়, ঈমানি হৃদয়ের ঈদ-ঈমানি প্রাণের ঈদ-অসীম প্রেমের ঈদ, যার সাথে অন্য কোনো আমলগত বিষয়ের তুলনা চলে না, পবিত্র মেরাজ সবকিছুর উৎস। মহান মোবারক মেরাজ শরীফের রহমত ও আলোকধারায় যুক্ত থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই ঈদে মেরাজ কর্মসূচিতে যুক্ত থাকতে হবে এবং ঈদে মেরাজ শরীফের শিক্ষা ও মর্মধারা নিয়ে এগিয়ে নিতে আল্লামা ইমাম হায়াত সত্য ও মানবতায় বিশ্বাসী সকল মানুষের প্রতি আহŸান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।