পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাফরুল এলাকায় ক্লাবে ঢুকে অস্ত্রের মুখে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগে ডিবির এক এসিসহ ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকী তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে গিয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এক্ষুণি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সাময়িক বরখাস্তকৃত সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে রিজার্ভ অফিসে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিবির এসি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কাফরুলের ইব্রাহিমপুরস্থ নিউ ওয়েভ নামের একটি ক্লাবে যায়। একটি সাদা রং-এর মাইক্রোবাসে সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ৮ জন ওই ক্লাবে প্রবেশ করেন। তারা নিজেদেরকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য পরিচয় দেয়। এ সময় ক্লাবের লোকজন তাদের কাছে আইডি কার্ড দেখাতে চান। এতে ক্ষেপে গিয়ে ক্লাবের কয়েকজনকে তারা মারধর করেন এবং মোবাইল ও টাকা-পয়সা কেড়ে নেন।
এদিকে মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়ার সময় কাফরুল এলাকায় সেনানিবাসের গেট সংলগ্ন রাস্তায় আটক হওয়া চারজন গাড়ির ভেতর থেকে চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে এমপি (মিলিটারি পুলিশ) চেকপোস্টে কর্মরত সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেন। আটককৃতদের অভিযোগ পেয়ে ১১ জন পুলিশ সদস্যকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে ঘটনার পর কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ওই পুলিশ সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করেছিলেন। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কিছু সত্যতা মিলেছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে এসি রুহুল আমিন ছাড়াও একজন ইন্সপেক্টর, দুইজন সাব ইন্সপেক্টর ও বাকীরা হলেন কনস্টেবল। কনস্টেবলরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে যেতে বাধ্য হয়েছেন, না ইচ্ছে করে গেছেন সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। গত দু’দিন ধরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগেও মাঝে মাঝে ওই পুলিশ সদস্যরা ওই ক্লাবে যেতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে রিজার্ভ অফিসে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।