পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফারুক হোসাইন : রেভিনিউ শেয়ারিং (রাজস্ব ভাগাভাগি) এবং স্পেকট্রাম চার্জে (তরঙ্গ ফি) আপত্তি জানিয়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) সেবা চালু না করার মনোভাব জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। এজন্য বিদ্যমান নীতিমালার সংশোধন, যথেষ্ট পরিমাণ তরঙ্গ নিশ্চিত এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আস্থার পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। সম্প্রতি ফোরজি’তে বিনিয়োগে তাদের প্রতিবন্ধকতা, টেলিযোগাযোগ খাতে অপারেটরগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ এবং বিদ্যমান সাংঘর্ষিক কিছু বিষয় তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কাছে চিঠি দেয় সংগঠনটি।
গত বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাতে (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সাথে অপারেটরদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকেও একই মনোভাবের পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা। ওই বৈঠকে ফোরজি নীতিমালায় রাজস্ব ভাগাভাগি, স্পেকট্রাম চার্জের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। এমটব ও বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, সভায় এমটবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ করার বিষয়ে আপত্তি জানান। একই সাথে স্পেকট্রামের ফি’কেও উচ্চ হার বলে উল্লেখ করা হয়। থ্রিজি’র বিনিয়োগ থেকে এখনো মুনাফা না আসায় হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, নতুন করে আবারও এধরনের বিনিয়োগে গেলে অপারেটরদের জন্য টিকে থাকায় কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য নীতিমালার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য তাদের পক্ষ থেকে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে একই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এমটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দেয় সংগঠনটি। ওই চিঠিতে বলা হয়, ফোরজি সেবা চালুর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) স¤প্রতি ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে কোনো ধরনের মতবিনিময় করেনি। ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালার কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফোরজি সেবা থেকে অপারেটরদের যে আয় হবে, তার ১৫ শতাংশ সরকারকে রাজস্ব পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে থ্রিজি ও অন্যান্য সেবার জন্য অপারেটররা তাদের আয়ের সাড়ে ৫ শতাংশ সরকারকে দেয়, ফোরজির জন্য সেটি ১৫ শতাংশ করার কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
এমনটি করা হলে ফোরজি’তে বিনিয়োগ করে তা থেকে মুনাফা করার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। ১৫ শতাংশ হারে আয় ভাগাভাগি করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চ হারে কর, স্পেকট্রাম ফি, গ্রাহক প্রতি নিম্ন গড় আয়, কম পরিমাণ ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার, ফোরজি উপযোগী মুঠোফোন স্বল্পতাকেও এই সেবা চালুর বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে অপারেটররা। তাদের হিসেবে, বর্তমানে যত স্মার্টফোন আছে তার মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ ফোরজি সেবার উপযোগী। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে তরঙ্গ লাইসেন্স নবায়নের সময় বিটিআরসি প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার জন্য বাড়তি অর্থ না নেয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধার জন্য মেগাহার্টজ প্রতি ৫৬ থেকে ৬৪ কোটি টাকা নেয়া হলে এই বাড়তি অর্থ নেয়া তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া ফোরজি তরঙ্গ নিলামের জন্য মেগাহার্টজ প্রতি তরঙ্গের দাম ২০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করাকে অনেক বেশি বলে মনে করে অ্যামটব। চিঠিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বেশি দামের কারণে বর্তমানে সরকারের কাছে ১৪৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গ অব্যবহৃত আছে। অন্যদিকে তরঙ্গস্বল্পতার কারণে অপারেটররা মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারছে না। সরকার একদিকে গ্রাহকসেবা উন্নত করতে চায় কিন্তু তরঙ্গের দাম কমাতে রাজি নয়, এমন নীতি সাংঘর্ষিক। ফোরজির জন্য প্রস্তাবিত বিভিন্ন মূল্যকে অবাস্তব উল্লেখ করে এগুলো সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। চিঠিতে আরও বলা হয়, গত তিন বছরে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবায় বিনিয়োগ করা ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে এখনো তারা লাভের মুখ দেখতে পারেনি। এ অবস্থায় আরও হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে সেই ক্ষতি কাটিয়ে ব্যবসা করা অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।