পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফের তদন্তের নির্দেশ
ইনকিলাব ডেস্ক : পানামা পেপারস নামে ফাঁস হওয়া নথিপত্রে বিদেশে গোপন অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সাথে নওয়াজ শরীফের দুই ছেলে এবং এক মেয়ের নাম প্রকাশ হয়। অভিযোগ ওঠে শরীফের পরিবার বিদেশে অবৈধভাবে টাকা পাচার করেছেন এবং সেই টাকা দিয়ে ব্রিটেনে স্থাবর সম্পত্তি কিনছেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট এক তদন্তের পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) রায় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আরো তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পানামা পেপারস ফাঁসের পর তীব্র হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তানে। বিরোধী রাজনীতিক এবং সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান দেশজুড়ে বিক্ষোভের হুমকি দেন। প্রধানমন্ত্রী শরীফ এবং তার পরিবার সবসময় টাকা পাচার বা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে গত বছরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী শরীফের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর থেকেই বলা হচ্ছিলো তদন্তে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রায় হবে এ খবর জানার পর গত ক’দিন ধরে পাকিস্তানে প্রচুর জল্পনা চলছিলো। এমনকী শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গতকাল রায়ের দিন ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ১৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সরকারের দিক থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল নওয়াজ শরীফ সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।
গত বছর মে মাসে পানামা পেপার্স নামে পরিচিত ফাঁস হয়ে যাওয়া অফশোর অ্যাকাউন্টের তথ্যের একটি তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিলো।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশে পর অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আই সি আই জে বলেছিলো যে, এই ডেটাবেজে উল্লেখিত সবাই যে অবৈধ কাজ করেছে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে অনেকে কর ফাঁকি বা আর্থিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করতে পারে।
আইনি প্রতিষ্ঠান মোজাক ফনসেকার ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি, পানামা পেপার্সের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে চিত্রতারকা এবং তারকা খেলোয়াড়দেরও গোপন সম্পদের খবর ফাঁস হয়ে যায়।
জার্মান একটি পত্রিকার কাছে ‘জন ডো’ নামে পরিচিত একটি সূত্র এই তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়।
পরবর্তীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এই তথ্য প্রকাশ করে। তবে মোজাক ফনসেকা দাবী করছে, তারা বেআইনি কোন কাজ করেনি। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।