পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রামপাল নিয়ে অনুমান, আবেগ এবং জ্যোতিষবিদ্যানির্ভর অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, গতকাল যিনি সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি, তার সংগঠনসহ টিআইবি এবং জাতীয় তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা কমিটির অনেকেই পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠেপরে লেগেছিলেন। কিন্তু মামলায় বিশ্বব্যাংক হেরে যায়। এ মামলার রায়ের পরে আমরা তাদেরকে জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহŸান জানিয়েছিলাম। পদ্মা সেতুতে ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে তারা এখন রামপালকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার পথ বেছে নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে দলটি।
হাছান মাহমুদ বলেন, রামপাল নিয়ে তাদের অভিযোগ অনুমান, আবেগ এবং জ্যোতিষবিদ্যানির্ভর। বিজ্ঞাননির্ভর নয়। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের শীর্ষ ব্যক্তিদের অভিযোগ অনুমান কিংবা শুধু আবেগনির্ভর নয়, ষড়যন্ত্রনির্ভর। যারা আবেগের কারণে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন, তাদের আমরা সম্মান জানাই। কিন্তু যাদের অভিযোগ জ্যোতিষবিজ্ঞাননির্ভর; তাদেরকে বিজ্ঞান নির্ভর কোনো যুক্তি উপস্থাপনের আহŸান জানাই।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল অভিযোগ করেন, রামপাল নিয়ে সরকার দেশে-বিদেশে অসত্য তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সে বিষয়ে সরকার কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে না। সুলতানা কামালের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তিনিসহ যারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তারাই জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। এক্সিম ব্যাংক ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে অর্থায়ন করছে। তাই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের এলাকার পরিবেশ রক্ষায় প্রথমে সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার অধিকতর নিরাপত্তার জন্য আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এ জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি করছে সরকার।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিঃসরিত ছাই কিনতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানা এখনই যোগাযোগ করছে বলেও জানান তিনি।
এসময় হাছান বলেন, বড় পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সেখানকার ক্ষেত-খামারের উৎপাদন না কমে, কোনো কোনো জায়গায় তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সনাতন পদ্ধতির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে যেখানে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়নি। সেখানে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতির কারণে ওইসব এলাকার কোনো ক্ষতি হবে না।
সুন্দরবন রক্ষা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে ভাড়াটে বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকালকের সংবাদ সম্মেলনে যেসব আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিজেদের মতামত উপস্থাপন করেছেন, তাদের কয়েকজনকে আমি চিনি। পৃথিবীতে টাকা দিলে অনেক ভাড়াটে বিশেষজ্ঞ পাওয়া যায়।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরানোর সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, আমাদের সরকার প্রধান বলেছেন সকল প্রকার সুরক্ষা নিয়েই আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি। তাই এ প্রকল্প অন্যত্র সরানোর কোনো সম্ভাবনাই নেই।
রামপাল ইস্যুতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির প্রচার সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তখন একজন মন্ত্রীর পদত্যাগ ও সচিব গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের বক্তব্যই প্রমাণিত হয়েছে। রামপাল ইস্যুতে এখন যারা জাতিকে বিভ্রান্ত করে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। এবারও সরকারের বক্তব্যই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমÐলীর সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আব্দুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।