Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১:০৭ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বেশ কয়েক দিনের তীব্র গরম ও দাবদাহ শেষে অবশেষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টার পর রাজধানীর আকাশ ঢেকে যায় মেঘে এবং সন্ধ্যার ঘণ্টা খানেক আগেই রাত্রীর ন্যায় অন্ধকার নেমে আসে। এরপর শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ছিল ঝড়োহাওয়া। এর গতিবেগ ছিল ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে।
গতকাল সারাদিন ছিল কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরম। এর মধ্যেই হঠাৎ বিকেল ৪টায় আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। নামে ঝুম বৃষ্টি। ঢাকার অনেক রাস্তায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কমে যায় গাড়ির সংখ্যা। এতে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সাধারণত সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর সড়ক, মহাসড়ক, অলিগলি তলিয়ে যায়। শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় পানিবদ্ধতা। যানজটের এ নগরীর যানজট বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে নগরবাসীরও ভোগান্তি বেড়ে যায়।
গতকালও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রায় ২ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও গলিপথ। সৃষ্টি হয় জলজট, সঙ্গে অসহনীয় যানজট। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর কাকরাইল-মালিবাগসহ আশপাশের রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া ঢাকার বাড্ডা, গুলশান, বনানীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে জমে পানি। এর মধ্যে অনেক এলাকায় ফ্লাইওভার, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার লাইন স্থাপনসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। ফলে পানিতে এসব গর্ত ডুবে নগরবাসীর জন্য পরিণত হয় মরণ ফাঁদে।
অনেক যানবাহন ও পথচারীকে পানিতে ডুবে থাকা এসব গর্তে পড়ে নাস্তানাবুদ হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে এসব গর্তে বেশি পড়তে দেখা যায়।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে।
ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের বক্তব্য, কয়েক দিন ধরে রাজধানীবাসী লোকাল-সিটিং জাঁতাকলে পড়ে আছে। এর মধ্যে পরিবহনের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছে বাস মালিকরা। বৃষ্টি শেষে অফিস থেকে বাসায় ফেরার কোনো বাস পাননি অনেকে। যেসব বাস আসে সেসব ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ, বাসের গেটেও যাত্রী ঝুলে থাকে। এর উপর আবার যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি বিড়ম্বনা। অনেক মানুষ কাক ভেজা হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। হঠাৎ এই বৃষ্টির কারণে ঘরমুখী মানুষেরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে।
রাজধানীতে গতকাল সন্ধ্যার আগেই ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৬৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ