পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের সাথে অমীমাংসিত তিস্তাসহ ৫৮টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বুধবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) পানি আনতে ব্যর্থ হয়েছেন, জনগণের যে দাবি তা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানিসহ ৫৮টি অভিন্ন নদীর পানি হিস্যা পাওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলে ধরুন। জাতিসংঘকে এটার মধ্যে সংযুক্ত করে এই সমস্যা সমাধানে তাদেরকে সম্পৃক্ত করুন। পানির ন্যায্যা হিস্যার দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা যে আন্দোলন করছি, এই আন্দোলন কোনো নেত্রীর জন্য নয়, কোনো দলের জন্য নয়, এটা দেশের মানুষের অধিকার পাওয়ার আন্দোলন। এটা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। আসুন আমাদের ন্যায্য পাওয়া আদায়ের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, সকল দল, ব্যক্তি সংগঠনকে আবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছি।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনটির ব্যানারে লেখা ছিলো, রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, জীবন দিয়ে রক্ষা করবো সার্বভৌমত্ব। তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যাসহ নানা ব্যানার মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের হাতে ছিলো।
ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিভিন্ন নদীর পানি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দাবি, প্রত্যেকটি নদীর ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। আমরা কোনো দয়া চাইছি না। যেটা আইনগতভাবে পাওনা, আমরা সেই পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই সরকার ভারতের থেকে তারা ন্যায্য হিস্যা আদায়ে দর-কষাকষি করতে পারছে না বলে অভিযোগও করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশের স্বার্থে কেনো ব্যর্থ হচ্ছে? ব্যর্থতার একটি কারণ, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না, জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। সেজন্যই যারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে, তাদের কাছে তারা নিজের জনগণের দাবি-দাওয়াগুলো সেভাবে তারা পেশ করতে পারছেন না, আদায়ও করতে পারছেন না।
উজানের পানি ঢলে হাওড় অঞ্চলের ব্যাপক বন্যার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে নেত্রকোনা গিয়েছিলাম। উজান থেকে পানি এসে হাওড় এলাকার ১০ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। মানুষ হাহাকার করছে, কোটি কোটি মানুষ দুর্গত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে, যেহেতু আমাদের কোনো চুক্তি নেই, তাদের যখন বন্যা হয়, তখন ভারত তার অঞ্চলের বাঁধগুলো খুলে দেয়, আমরা পানিতে তলিয়ে যাই।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির কথা পুনরুল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আজকে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে। দেশের মানুষ একটা কারাগারের মধ্যে পড়ে গেছে। সেই কারাগার থেকে অবশ্যই আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, আপনারা নির্বাচন দিন। সেই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং একই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।