পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে এ খাতের জন্য সব ধরনের প্রণোদনা দেয়া হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এ ঘোষণা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পরিবহন খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাত। একজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ বলতে, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন তিনটি জিনিস- রাস্তা, রাস্তা আর রাস্তা। পরিবহনের জন্য রাস্তা, কাঁচামাল বা উৎপাদনের জন্য রাস্তা আর বাজারজাতকরণের জন্য রাস্তা। তিনি বলেন, পরিবহন খাতে স¤প্রতি যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে; তা থেকে ফিরে আসুন এনবিআর সব ধরনের প্রণোদনা দেবে। পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যে কমিটমেন্ট দেখছি আমি আশাবাদী সাধারণ মানুষ উপযুক্ত সেবা পাবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, পরিবহন খাত ঠিক না থাকলে দেশের ইন্ডাস্ট্রি ঠিক থাকবে না। দেশে রাজনীতির নামে যখন হত্যাযজ্ঞ চলেছে তখন পরিবহন খাত দেশের আমদানি-রপ্তানি ঠিক রেখেছে। এ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে টায়ারের ট্যারিফ কমানো ও স্পেয়ার পার্টস কেজি প্রতি ট্যারিফ মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি। এনায়েত উল্লাহ বলেন, পরিবহনকে ইন্ডাস্ট্রি ঘোষণার পরও আমরা ইন্ডাস্ট্রির কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। ইঞ্জিনে আমরা ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে থাকি অথচ শিপিং এর ক্ষেত্রে এ ইঞ্জিনে তার ৩ ভাগের ১ ভাগ দিয়ে থাকে। ইন্ডাস্ট্রি ঘোষণার কারণে বেশি কর দিতে হচ্ছে।
দেশে ল্যাপটপ, মোবাইল ও আইওটি ডিভাইসসহ হার্ডওয়্যার উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করতে উৎপাদনে শুল্ক ও করমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন আইটি ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (আইটিইএস) খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা। কম্পিউটার যন্ত্রাংশের আমদানি পরবর্তী সরবরাহ বা বিক্রির ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। একই সঙ্গে ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেছে সংগঠনটি।
এছাড়া সর্বোচ্চ জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। একই সঙ্গে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে অবচয় হার ও সিসি ¯ø্যাব পুনর্নিধারণ, এসআরওর ভাষা সহজ করা, মাইক্রোবাসের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারেরও সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন গাড়ি আমদানিকারকদের শুল্ক রেয়াতি সুবিধায় হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ দেয়া হলেও সেটি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ দেশের সড়কে চলাচল করা ব্যক্তিগত গাড়ির ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই রিকন্ডিশন। বারভিডাকে হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ দেয়া হলেও শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়নি। ফলে রিকন্ডিশন হাইব্রিড গাড়ির দাম বেশি পড়ছে। বারভিডাকে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দিয়ে গাড়ি আমদানির সুযোগ দিলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় করা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আর ক্রেতারা সাধারণ গাড়ির দামে উন্নতমানের গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।