পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ময়মনসিংহের ত্রিশালে গতকাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ। এ অনুষ্ঠানকে উৎসবে রাঙিয়ে দিতে ৮০ লাখ টাকার বিশাল বাজেট করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র বিলি করতে গিয়েই তারা তালগোল পাকিয়ে বসে।
একই রকম প্রবণতা দেখা যায় জেলা প্রশসন ও জেলা তথ্য অফিসে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পাশাপাশি তাদের মাঝেও সিকিউরিটি পাশ নিয়ে ছিল রশি টানাটানি। তাদের এ গ্যারাকলে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানটি সঠিকভাবে কভার করতে পারেননি দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমের অনেক সাংবাদিক।
এজন্য ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দিন ও জেলার সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, সমার্বতনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিন চারেক আগে নিজেদের পছন্দমতো হাতেগোনা গুটি কয়েক সাংবাদিকদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়। এ সময় প্রথম সারির মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক আমন্ত্রণপত্র না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম ও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ হুমায়ন কবীরের সাথে যোগাযোগ করেন। জেলা প্রশাসন তালিকা প্রস্তুত করেছেন উল্লেখ করে তারা বিষয়টি পাশ কাটানোর চেষ্টা করেন।
একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দিন সাংবাদিকদের তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নয়-ছয় করেছেন। তার প্রস্তুতকৃত তালিকায় গুরুত্বহীন ছিল দেশের লিডিং মিডিয়ার দ্বায়িত্বশীল সংবাদকর্মীরা।
এসব বিষয়ে বাংলানিউজের সিনিয়র স্টাফ করসপনন্ডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ একাধিক সাংবাদিক তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জেলা তথ্য অফিসে আবেদন করতে পরার্মশ দেন এবং সব কিছুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে তাদের উপর দোষ চাপান। পরবর্তীতে একাধিক সাংবাদিক জেলা তথ্য অফিসারের কাছে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিলেও তথ্য কর্মকর্তা নানা অজুহাত উপস্থাপন করে বলেন, সিকিউরিটি পাশ পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে হয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।
জেলা তথ্য অফিসারের এমন ছলচাতুরীতে অসন্তুষ্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিকরা। সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক মো: শামসুল আলম খান বলেন, দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এ আচরণ দ্বায়িত্বহীনতার পরিচয়। এটা মেনে নেয়ার মতো নয়। এ সময় তিনি এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে আরো সচেতন হবার পরামর্শ দেন।
তবে এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, তথ্য অফিস থেকে যে তালিকা এসেছে, সে অনুযায়ী পাশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে দাওয়াতপত্র না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ত্রিশাল ও ময়মনসিংহের জনপ্রতিনিধি ও সুধীনজনদের অনেকেই।
ত্রিশালের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন মাদানী বলেন, এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সমার্বতনের আয়োজন করা হলেও অতিথিদের কে আপ্যায়ন করা হয়নি। এনিয়ে আগত অতিথিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাদানী আরো জানান, প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ অনুষ্ঠান জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারিতে করার দরকার ছিল, এখন কেন করলেন। সাবেক এমপি মাদানী জানান, অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বসার কোনো স্থান ছিল না। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে বাগি¦তÐা হয় বলেও তিনি দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের একমাত্র সংগঠন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব রাশিদুল হাসান শেলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অবকাঠামোটি নির্মাণে ছিলেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রথম যে জমিটি ক্রয় করা হয়েছিল সেই জমিটা এখনো আমার নামে রয়েছে। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়নি। ন্যূনতম কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হলেও এই সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিবকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র দেয়া প্রয়োজন ছিল।
দাওয়াতপত্র পাননি বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিজয় সফটওয়ারের স্রষ্টা মোস্তফা জব্বারও।
সংগঠনটির ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি নাট্য ব্যক্তিত্ব শাহাদাত হোসেন খান হিলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছে তাদেরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।