পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগে আনুষ্ঠানিকতা কমানোর পাশাপাশি খরচ কমানো এবং ব্যবসা পদ্ধতি সহজ করার বিকল্প নেই। ব্যবসায়ীদের কারণে আজ দেশের অর্থনীতি দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ও সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় ব্যবসা সহজিকরণের অঙ্গীকার নামায় বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দ্রæত উন্নতি লাভ করছে। মন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা করে বাংলাদেশ উদার বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করেছে। সরকার এবং ব্যবসায়ী একে অপরের পরিপূরক, সকলকে পজেটিভ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ঝামেলামুক্ত ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ইস অফ ডুয়িং বিজনেস এন্ড ট্রেড ফ্যাসিলিয়েশন’-এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করে তিনি এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’টি প্রতিশ্রæতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। একটি মধ্য আয়ের দেশ, অপরটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, নির্ধারিত ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের অন্যতম দেশ। এ জন্য ব্যবসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। উন্নত অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ। আর বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও পরিবেশ। দেশে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসগুলোকে দ্রæত সেবা প্রদানের জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর সুফল এখন ব্যবসায়ীরা ভোগ করছে। গত অর্থবছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৭ ভাগ। এ বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত একদশক ধরে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫ ভাগ, বিগত বছর তা হয়েছে ৭ দশমিক ১১ ভাগ, এ বছর হবে ৭ দশমিক ২ ভাগ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশে অর্থনীতি হলো ৩১তম। ২০৩০ সালে হবে ২৮তম এবং ২০৫০ সালে হবে ২৩তম। সরকার ঘোষিত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজির সফল বাস্তবায়ন করবে। দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা এবং রপ্তানি বাজার বৃদ্ধি পাবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার মো. মোর্শারফ হোসেন, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।