পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল : হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডবিøউ) এক নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন বিমান হামলায় উত্তর সিরিয়ার শত শত মুসল্লিপূর্ণ একটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী বোমা দু’টির নিক্ষেপ পরিহারের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্ব সতর্কতা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সিরীয়রা জানায়, ১৬ মার্চে পশ্চিম আলেপ্পোর এক মসজিদে এক বিমান হামলায় ৪০ জন মুসল্লি নিহত ও কয়েক ডজন আহত হন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের এক সভাস্থলে বোমা নিক্ষেপ করেছে।
এইচআরডবিøউর এক নতুন রিপোর্টে বলা হয়, স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে সাক্ষাৎকার, এবং ওই ভবনের ছবি ও ভিডিও থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি একটি সুপরিচিত মসজিদ। প্রতি বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত থেকে মাগরিবের নামাজের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা হত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলে, এ ভবন সম্পর্কে সকল তথ্য সন্ধান থেকে জানা যায়, যে হামলার সময় স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কারণ, তা স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় একটি মিলনস্থল। আরো কথা, ওই মসজিদে আল কায়েদা বা অন্য কোনো সশস্ত্র গ্রæপ সভা করছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করেছে এইচআর ডবিøউর তদন্তে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এইচআরডবিøউর ডেপুটি ইমারজেন্সিজ ডাইরেক্টর ওলে সলভাং এক বিবৃতিতে বলেন, মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কিছু সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এ হামলা চালিয়েছে জীবন দিয়ে যার মাশুল দিয়েছে কয়েক ডজন লোক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কোথায় ভুল হয়েছে তা খুঁজে বের করা, কোনো হামলার আগে হোমওয়ার্ক করা এবং এ ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করা।
মার্কিন সামরিক বাহিনী মার্চে বলেছিল যে ইদলিবে জ্যেষ্ঠ আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের একটি সভাস্থলে বিমান হামলায় কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেন যে মার্কিন জঙ্গি বিমানগুলো ওই এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন, জঙ্গি বিমান মসজিদ থেকে ৪০-৫০ ফুট দূরত্বে একটি ভবনে বোমা ফেলে এবং উপগ্রহ ছবি থেকে দেখা যায় যে মসজিদটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু এইচআরডবিøউর রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে ভুল করে এবং তারা ইদলিবে নয়, আল জিনাহর দক্ষিণপশ্চিমে হামলা চালায়।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং হোয়াইট হেলমেট নামে সুপরিচিত সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স এ হামলা নথিভুক্ত করেছে। এইচআরডবিøউ হোয়াইট হেলমেটের এক সদস্যের এবং ওই হামলার সময় সেখানে থাকা চার ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
উন্মুক্ত সূত্র তদন্ত গ্রæপ বেলিংক্যাট এ হামলার ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ বিশ্লেষণ করেছে। ফরেনসিক আর্কিটেকচার মসজিদের মডেল তৈরি করেছে ও হামলার ঘটনা পুনর্গঠন করেছে। এ গবেষণা ব্যবহার করে এইচআরডবিøউ বলেছে, এ থেকে এ দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে ভবনটি একটি মসজিদ ছিল।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘটনাস্থলে দু’টি বিরাট গর্তের অবস্থান দেখে বোঝা যায় যে প্রথম বোমাটি নামাজের সময় মসজিদে নিক্ষেপ করা হয়। জীবিতরা বাইরে পালিয়ে গেলে সেখানে দ্বিতীয় বোমা ফেলা হয়। এতে যারা সাহায্য করতে সেখানে ছুটে এসেছিলেন তারাও নিহত হন।
রিপোর্টে বলা হয়, হামলার পূর্বে তোলা ভবনের ছবিতে দেখা যায় যে, সেখানে জুতা রাখার তাক ও নামাজের মাদুর বিছানো ছিল যাতে বোঝা যায় এটি একটি মসজিদ ছিল। ভবনটিতে হামলার পর তোলা ছবি থেকে দেখা যায়, ধ্বংসস্ত‚পের মধ্যে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা ‘সাইয়েদেনা ওমর ইবন আল-খাত্তাব মসজিদ।’
রিপোর্টে হামলা ঘটনার সরকারি তদন্ত, বেসামরিক হতাহত ও তাদের পরিবারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানানো হয়।
এর আগের বিমান হামলাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াতে আল কায়েদা নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে। ফেব্রæয়ারিতে ১০ আল কায়েদা সদস্যকে হত্যা করা হয় বলে পেন্টাগন জানায়। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সিরিয়ায় লাদেন আমলের আল কায়েদা নেতাদের হত্যা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।