পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে ১৯৯০’র দশকে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আদালতের এ আদেশ বিজেপির সাবেক প্রধান লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং তার সহকর্মীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আদভানি ছাড়াও একই অভিযোগ রয়েছে মুরলি মনোহর যোশি, উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংসহ মোট ২১ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। কল্যাণ সিং রাজস্থানের রাজ্যপাল পদে থাকায়, তাকে এই মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে এ বিচার শেষ করতে হবে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্বের ‹উস্কানিমূলক› বক্তব্যের কারণে হিন্দুরা ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল। যদিও বিজেপি নেতৃবৃন্দ এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেবার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় দুই হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছিল।
হিন্দুরা দাবি করে বাবরি মসজিদ যে জায়গাটিতে অবস্থিত সেখানে হিন্দুদের অন্যতম দেবতা রামের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ১৯১৬ শতকে সে এলাকায় মুসলিম আগ্রাসনের পরে হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয় বলে হিন্দুরা দাবি করে।
এ জায়গাটিতে মসজিদ থাকবে নাকি মন্দির থাকবে সে বিষয়টি আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। স¤প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এ সংক্রান্ত কোনো রায় না দিয়ে উভয় স¤প্রদায়কে পরামর্শ দিয়েছে যাতে দুই পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে।
শীর্ষ আদালত মনে করে, ধর্ম আর বিশ্বাসের সঙ্গে এই সমস্যা জড়িত। তাই এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান একমাত্র আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।
কিন্তু সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটির দায় এড়াতে পারছেন না তৎকালীন বিজেপির সিনিয়র নেতারা। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।