Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেত্রকোনায় আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে কৃষকের ক্ষতি সাড়ে ৬ শত কোটি টাকা

মাছের পর হাঁস মরা শুরু

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : অব্যাহত বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট অকাল বন্যায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলায় সরকারি হিসাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৪৭ হাজার ৯ শত ৯০ হেক্টর জমির বোরো ধান। তবে বেসরকারি হিসাবে এই ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল। বর্তমান বাজার মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ টাকার অংকে প্রায় সাড়ে ৬ শত কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সময় মত সঠিকভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ না করায় চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে নেত্রকোনা জেলার ছোট বড় ১ শত ৪০টি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। আগাম বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, আটপাড়া ও কেন্দুয়া। নেত্রকোনা চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩ শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। আগাম বন্যায় ডিঙ্গাপোতা হাওর, পাঙ্গাসিয়া হাওর, ছায়ার হাওর, চৌতারা হাওর, হালদা হাওর, নাজিরপুর হাওর, গনেশের হাওর, তলার হাওর, ধলার হাওর, কয়ার হাওর, গোড়াডোবাপা হাওর, মহিষাশুড়া হাওর, বড় হাওর, জালিয়ার হাওর ও শুনই হাওরে ৪৭ হাজার ৯ শত ৯০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৪ শত ৭০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র কৃষি ফসল বোরো ধান বিনষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় সম্পদ হাওরের মাছও এখন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান পচে গিয়ে এক ধরনের উৎকট দুর্গন্ধ ও বিষক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় এবং অক্সিজেনের অভাবে গত সোমবার থেকে হাওরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। হাওরের মরা মাছ খেয়ে বিভিন্ন ধরনের পাক-পাখালি ও হাঁস মরে যাচ্ছে। এ নিয়ে হাওরবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সাথে বুধবার যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ২১ লাখ টাকা এবং ২ শত ১৫ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও হত দরিদ্রদের মাঝে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ