পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : কেরানীগঞ্জের কোন্ডারচরে সিংহ নদীর তীর ভরাট করে মক্কা-মদিনা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ওই ভাটায় নদী ও তার আশেপাশের সরকারি জমির মাটি কেটে নিয়ে দেদারছে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাটায় তৈরী ইট ট্রাক ও মাহিন্দ্র গাড়ী দিয়ে বহন করে ইষ্টার্নবাজার থেকে কোন্ডারচর পর্যন্ত সদ্য নবনির্মিত রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নেয়া হচ্ছে। এতে নিত্যদিন এভাবে ইট বহনকারী ভারী যানবাহনের অবাধ চলাচলের কারণে রাস্তাটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোন্ডারচরে সিংহ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে মক্কা-মদিনা ব্রিকস ফিল্ড। এই ইটভাটার মালিক হিসেবে রয়েছেন গোলজার হোসেন, আ: খালেক, জালাল উদ্দিন, গিয়াসউদ্দিনসহ মোট দশজন। ভাটা নির্মাণের সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের জমির পাশাপাশি নদীর তীরও তারা ভরাট করেছেন। এভাবে তারা প্রায় ২ বছর ধরে তীর ভরাট ও দখল করে দাপটের সাথে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একপর্যায়ে ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে মালিক পক্ষ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।
ইটভাটার মালিক পরিচয় দিয়ে জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, নদীর তীরে আমাদের জমি রয়েছে। যেই জমিতে ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ভাটা নির্মাণের সময় নদীরও কিছু জমিও দখল করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাটা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের ব্যক্তিগত ও সরকারি জমির মাটি কেটে মাহিন্দ্র ও ট্রাকে ভরে ফসলি জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ইটভাটায় আনা হচ্ছে।
এতে মাটি বোঝাই গাড়ী চলাচলের কারণে তাদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ইট ভাটার মালিক পক্ষ স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষকরা ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। একদিকে জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে গ্রামের শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ইট বহনকারী যানবাহনের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কোন্ডা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইষ্টার্নবাজার থেকে কোন্ডারচর পর্যন্ত সদ্য নির্মিত রাস্তাটি গ্রামের শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। কোটি টাকা খরচ করে কয়েক মাস আগে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ইটভাটার ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ইতিমধ্যে রাস্তার ইটের খোয়া উঠে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ৭/৮ ইঞ্চি বালু ও ধুলার আস্তরণ জমেছে। বালু ও ধুলার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যেতে ছাত্রছাত্রীদের অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একবার এই রাস্তা দিয়ে গেলে জামাকাপড়, জুতো ধুলোবালুতে নষ্ট হয়ে যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইটভাটার আরেক মালিক গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা ইট বহনের জন্য ট্রাক মাহিন্দ্র ব্যবহার করছি। কিন্তু এতে রাস্তা নষ্ট হওয়ার কথা নয়।
সরকারী কোন জমি থেকে মাটি নিচ্ছি না। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন বলেন, নদী বা খালের তীর ভরাট বা দখল করা এক ধরনের অপরাধ। যারা খাল বা নদীর তীর দখল করেছে তাদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।