পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল জাজিরা : উত্তর কোরিয়া বলেছে, মার্কিন সামরিক শক্তি দেখিয়ে হুকুম করার দিন শেষ হয়ে গেছে। মার্কিন ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীরা যদি ভাবে যে, তারা আমাদের কোনো সামরিক বা অবরোধ আরোপের হুমকি দেখিয়ে ভীত করবে তাহলে তারা শীঘ্রই দেখতে পাবে যে এ ধরনের হুমকি দেয়া অর্থহীন। এর আগে বারাক ওবামার সরকার সে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিন হং-চোল সোমবার আল জাজিরার সাথে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিশে^র দিকে খোলা চোখে তাকানো উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্বের আঘাত আসতে দেখলে আমাদের সেনাবাহিনী মার্কিন আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে নির্দয় আঘাত হানবে। সুদূর মার্কিন ভ‚খÐ থেকে কোরীয় উপদ্বীপের আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি, এমনকি জাপান ও অন্য যেখানেই তারা থাকুক না কেন।
সিন বলেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে ৬ জাতি আলোচনা শুরুতেই থেমে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা কোনো বিভ্রম নয়। তিনি বলেন, এটা এমন পণ্য নয় যা আমেরিকান ডলার দিয়ে কেনা যাবে বা বিক্রি করা হবে। সুতরাং নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য একে আলোচনার টেবিলে রাখা যাবে না।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর কোরিয়া উপসাগর অভিমুখে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ অগ্রসর হচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আগত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সোমবার বিশে^র সর্বাপেক্ষা সামরিকীকৃত দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমান্ত পরিদর্শন করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেন, কৌশলগত ধৈর্যের দিন শেষ।
পিয়ংইয়ং জোর দিয়ে বলে আসছে যে তার ভাষায় বৈরী যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিদ্যমান হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রসহ তার শক্তিশালী অস্ত্রভাÐার প্রয়োজন। কিন্তু ট্রাম্পপ্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্রবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে দেবে না।
কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ও লেখক ডোনাল্ড কার্ক সিউল থেকে আল জাজিরার সাথে কথা বলার সময় উল্লেখ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে বাগযুদ্ধ বাড়ছে। একটি সহিংস যুদ্ধের আসলেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, উত্তেজনার পারদ নিশ্চিতভাবেই উঁচুতে। ভাইস প্র্রেসিডেন্ট পেন্স সোমবার কঠোর ভাষায় কথা বলেছেন। তিনি খোলাখুলিভাবে আগাম হামলা চালানোর পথ খোলা রেখেছেন।
উত্তর কোরিয়ার সাথে মার্কন উত্তেজনার মূল নিহিত রয়েছে ১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধের মধ্যে। সে যুদ্ধ শেষ হয় অস্ত্র বিরতিতে, কোনো শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে নয়। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ নিয়ে দু’দেশের মধ্যকার টানাপড়েনের সম্পর্ক বিরাজ করছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৪ এপ্রিল সিরিয়ার ইদলিবে বেসামরিক লোকদের উপর সরকারী বাহিনীর গ্যাস হামলায় ৮৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ৬ এপ্রিল সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ৬০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যা প্রকারান্তরে উত্তর কোরিয়ার প্রতি এক হুঁশিয়ারি।
মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ কার্ল ভিনসন ব্যাটল গ্রæপ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর নতুন নির্দেশ পেয়ে তা মুখ ঘুরিয়ে কোরিয়া উপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এদিকে মার্কিন উপগ্রহ ইমেজের তথ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়া যে কোনো সময় ভ‚গর্ভে পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।