পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অচিরেই দেশে করোনারি স্ট্যান্ট’র (হার্টের রিং) দাম কমছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এরই ফলশ্রæতিতে দেশের ৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হƒদরোগীদের সুবিধার্থে করোনারি স্ট্যান্টের প্রস্তাবিত মূল্য অধিদফতরে দাখিল করেছে। প্রস্তাবনা অনুসারে বেয়ার মেটাল ও বিএমএস (নন-মেডিকেটেড) স্টেন্টের মূল্য ২৫ হাজার ও ড্রাগ ইলিউটিং স্ট্যান্টের (মেডিকেটেড) মূল্য ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে স্ট্রান্টের দাম নিয়ে আসা হবে। দাম নির্ধারণের পর সকল আমদানিকারক ও বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত দামে তা বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে। একই সঙ্গে ডিভাইসের প্যাকেটে অবশ্যই উৎপাদন, মেয়াদকাল, দাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় ওই ডিভাইস অবৈধ এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে চূড়ান্ত দাম নির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত সকল সরকারি হাসপাতালে এই প্রস্তাবিত দামে স্ট্যান্ট বিক্রি হবে। তবে স্ট্যান্ট কেনার সময় অবশ্যই ক্রেতাকে দেখতে হবে স্ট্রান্টের প্যাকেটের গায়ে পণ্যের মূল্য, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ রয়েছে কিনা। যদি এগুলো না থাকে তাহলে ওই স্ট্যান্ট কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। দাম প্রস্তাবকারী কোম্পানিগুলো হলো কার্ডিয়াক কেয়ার, ভাসটেক লিমিটেড, মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড ও ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বর্তমানে ২১টি কোম্পানিকে ৪৭টি করোনারি স্ট্যান্ট আমদানির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি কোম্পানি মূল্য প্রস্তাব করেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একটি বেয়ার মেটাল স্ট্যান্টের দাম ৭ হাজার ২৬০ রুপি, বাংলাদেশী টাকায় যার দাম হয় ৮ হাজার ৯২৯ টাকা। অন্যদিকে ড্রাগ ইলিউটিং স্ট্যান্টের দাম ভারতে ২৯ হাজার ৬০০ টাকা, বাংলাদেশী টাকায় যার দাম হয় ৩৬ হাজার ৪০৮ টাকা। তবে দু’দেশের মধ্যে পার্থক্য হলো ভারতে ৬টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে, অন্যদিকে বাংলাদেশ পুরোটাই আমদানী নির্ভর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বার্ষিক ১৮ হাজার করোনারি স্ট্যান্টের প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে ভারতের বার্ষিক চাহিদা ১০ লাখ। সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা, সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন, ওষুধ তত্ত¡াবধায়ক সাবরিনা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।