পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবাইল ফোনের কর কমানোর আহŸান
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মোবাইল ফোনের সিমট্যাক্সসহ সব ধরনের কর কমানোর আহŸান করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যামটবের পক্ষ থেকে ওই আহŸান করা হয়। এর আগে, কৃষি, জুয়েলারি, পোলট্রিসহ বিভিন্ন খাতের সমস্যা তুলে ধরে ট্যাক্স সহনীয় করার প্রস্তাব করেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সঙ্গে বাজেট আলোচনায় এই আহŸান জানান অ্যামটবের মহাসচিব নুরুল কবির। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কয়েক বছরে উচ্চ মাত্রার ট্যাক্সের কারণে এই শিল্পে বিনিয়োগ তেমন বাড়ছে না। বিনিয়োগ বাড়াতে ট্যাক্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেছেন, রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনগণের কথা মাথায় রেখে ট্যাক্স প্রণয়ন করা হবে।
দেশের পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়নে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ। সংগঠনটি পোল্ট্রি খাদ্যের আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামাল সয়াবিন মিল আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক মওকুফসহ সব পর্যায়ে আরোপিত ভ্যাট ও কর কমানোর দাবি জানিয়েছে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান মশিউর রহমান বলেন, পোল্ট্রি ফিডের প্রধান উপাদান ভুট্টা। কারণ, পোল্ট্রি ফিডে প্রায় ৬০ ভাগ ভুট্টা ব্যবহৃত হয়। দেশে উৎপাদিত ভুট্টার প্রধান ক্রেতা এ শিল্প। তারপরও দেশে উৎপাদিত ভুট্টা পোল্ট্রি শিল্পের চাহিদার মাত্র ৪৫ শতাংশ মেটাতে সক্ষম। বাকি ৫৫ শতাংশ ভুট্টা আমদানি করতে হয়। অথচ আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সে কারণে পোল্ট্রি খাদ্যের উপকরণ আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের আবেদন করছি।
মশিউর রহমান বলেন, পোল্ট্রি ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ভেজিটেবল প্রোটিন হিসেবে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এ ভ্যাট কমানোর দাবি জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি এই খাতের রপ্তানি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারে দীর্ঘমেয়াদি নীতির দাবি জানাচ্ছি।
ব্যক্তি পর্যায়ে বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আনার সুযোগ চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ ছাড়া জুয়েলারি শিল্পের স্বার্থে মোট বিক্রয়ের উপর ৩ শতাংশ ভ্যাট দাবি করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে দেশে সোনা চোরাচালান বেড়েছে। এতে করে বিকাশমান জুয়েলারি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই এ শিল্প রক্ষায় আগামী বাজেটে বিদেশ থেকে সোনা আমদানি শুল্ক হ্রাস করা প্রয়োজন।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী বাংলাদেশি ও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং ২৩৪ গ্রাম সোনার বার প্রতি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ৫০০ থেকে ১০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে আমদানির সুযোগ চেয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, ভারতে স্বর্ণালঙ্কার কেনাকাটায় ১ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। তাই ভারতে গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার কেনার প্রবণতা বেড়েছে বাংলাদেশিদের। ১০ লাখ টাকার অলঙ্কার কিনলে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। যেখানে ভারতে এর পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।