Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের গোডাউনে আগুন

| প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রতিবেদন তৈরিতে সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ওষুধের কেন্দ্রীয় গোডাউনে আগুনের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন পায়নি অধিদফতর। কমিটি তাদের কাছে অধিদকতর তদন্তের জন্য আরও সময় চেয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মালিকানাধীন হেলথ ওয়ার্কশপের গোডাউনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া সামগ্রীর হিসাবের জন্য একটি ইনভেনটরি কমিটিও গঠন করা হয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (ড্রাগ অ্যান্ড স্টোর) হানিফুর রহমান বলেছেন, সারা দেশের পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয় ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত গøাভস, ওষুধের কার্টন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহারযোগ্য ৩৬ ধরনের ওষুধসহ কয়েক শত টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে গত ১০ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গোডাউন পরিদর্শনে এসে সমালোচনা করে বলেছেন, আমি এই পুরনো গোডাউন দেখে বিস্মিত। এখানে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী থাকে। অত্যন্ত আধুনিক গোডাউন ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গোডাউনের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পুড়ে গেলেও দেশে এগুলোর তিন মাসের মজুদ আছে। আপাতত কোনও সমস্যা কোথাও হবে না। তার পক্ষ থেকে এ সময় জানানো হয়, দেশের মোট ৪৮৮টি উপজেলা ও ২১টি আঞ্চলিক গোডাউনে পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন সামগ্রীর তিন মাসের মজুদ আছে।
এদিকে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারওয়ার বলেন, এটা বিশাল ঘটনা ছিল। তদন্ত কমিটি আরও সময় চেয়েছে, মন্ত্রণালয়ও তাদের সময় দিয়েছে। কোনও তদন্ত কমিটিই এখনও প্রতিবেদন দেয়নি। তারা কাজ করছেন। গতকালও (সোমবার) মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত হওয়া কমিটি আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে।
পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা কেন হাতে পাননি জানতে চাইলে অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, গত সপ্তাহেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নির্ধারিত পাঁচ দিন শেষ হওয়ার আগের দিন অধিদপ্তর গঠিত কমিটি আরও পাঁচ দিন সময় চেয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কমিটি সাত দিন সময় চেয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন হাতে পাব। কমিটি জানিয়েছে, অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। কারণ সেদিনের আগুনের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি, তারা গোডাউনের ভেতরে তদন্তের প্রয়োজনে কয়েকবার ঢুকেছে, আগুন নেভানোর কাজে যারা যুক্ত ছিল, ফায়ার সার্ভিসসহ সবার সঙ্গে তারা কথা বলছেন। অধিদফতরের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ সর্ম্পকে তদন্ত কমিটি কিছু জানিয়েছে কিনা জানতে চাইলে কাজী মোস্তফা সারওয়ার বলেন, যেহেতু তারা এখনও কাজ করছেন, তাই এ নিয়ে এখনও আমাদের কিছু জানায়নি।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, আগুনের কারণ হিসেবে শর্টসার্কিটের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলেও কয়েক মাস আগে হ্যান্ডগøাভস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাশকতার বিষয়টিও এড়িয়ে যাচ্ছেন না কমিটি।
সূত্রটি এ প্রসঙ্গে জানায়, কয়েক মাস আগে অধিদফতরকে একটি প্রতিষ্ঠান যে হ্যান্ডগøাভস সরবরাহ করে সেগুলো উপযুক্ত না হওয়ায় ফেরত নিতে বললেও তারা ফিরিয়ে নেয়নি। প্রচুর পরিমাণে হ্যান্ডগøাভস গোডাউনের ভেতরে ছিল। সূত্রটি জানায়, আগুনের ঘটনায় এটাকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ