Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারত সফরে শেখ হাসিনা তার কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছেন -তথ্যমন্ত্রী

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১:১৭ পিএম | আপডেট : ১:৪৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের তেঁতুল হুজুর চক্র হলো রাজাকারপন্থি, পাকিস্তানপন্থি ও জঙ্গিপন্থি। তেঁতুল হুজুর চক্র একটি ধর্মবিরোধী চক্র। এরা বাংলাদেশের কোনো আলেম, ওলামার প্রতিনিধিত্ব করে না। তেঁতুল হুজুর চক্র আসলে একটি রাজনৈতিক মোল্লা চক্র। এদের সঙ্গে মহাজোটের রাজনৈতিক লেনদেনের কোনো প্রশ্নেই ওঠে না।

বর্তমান সরকার তেঁতুল হুজুরদের সঙ্গে সমঝোতা করে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে তথ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে জাসদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ইনু আরও বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে রাজনীতি, সমাজনীতি ও গঠননীতি করবে তাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, জাতির পিতা ও সংবিধানের চার নীতি এবং ২৫ মার্চের কালরাতকে মানতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চাইলে রাজাকার, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতকে ছাড়তে হবে। তবেই তারা রাজনীতির উপযোগী হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তার পানি ভাগাভাগি ও চুক্তির করার বিষয়ে ভারত প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা মাত্র। ভারত সফরে শেখ হাসিনা তার কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারত সফর নিয়ে অহেতুক অপপ্রচার চালালে বিএনপিকে নিজের থুতু নিজেরই গিলতে হবে।’

এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান, কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনসহ জাসদ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ২:৩৩ পিএম says : 0
    মানীয় মন্রী মহোদয়, অতি কথন ও সমালোচনা সমাজে ভয়াবহ ক্ষতির রূপ নেয়। সমাজে বিপর্যয় নেমে আসে। স্বাধীনতার পর পর আপনাদের অধিক সমালোচনায়, আমরা হারালাম জাতির পিতাকে। বিশ্ব হারাল পাহাড় সমতুল্য এক নেতা। যা মাননীয় প্রধানমন্রীর সদ্য বক্তিতামালায় প্রকাশ পাচ্ছে। মানবিক দিগ দিয়ে সব মানুষ সমান। কিন্ত কর্ম পরিধিতে এক জন হতে অন্য জন আকাশ পাতাল পার্থক্য। আপনারা যা কে তেঁতুল হুজুর বলে কাটাক্য করছেন। তিনি নায়েবে রাসুল। মুসলমানদের নয়ন মনি। লক্ষ কোটি ভক্ত তার জন্য পাগল পরান। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান তার ই অবদান।এক দিন হয়ত হুজুর থাকবেনা, থাকবে তার গড়া প্রতিষ্ঠান। এই সব প্রতিষ্ঠান হতে চলবে মানবতার জয় গান। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় আপনারা এখন বেঁচে আছেন। ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছেন। নেত্রী ছেড়ে দিলে জামানত হারাবেন। অতল গহবরে চলে যাবেন। তখন হয়ত খুঁজে ও পাওয়া যাবে না। মহাজোটের সাথে হুজুরের সন্পর্ক নাই বলে আপনারা বলছেন। কথাটা সঠিক হলো না। মহাজোট প্রধান হলো জননেত্রী হাসিনা। নেত্রী হাসিনার সাথে কিছু দিন পূর্বে হুজুরের এক সাফল্য ও সফল আলোচনা হয়েছে। যা সর্ব সাধারন সানন্দে গ্রহন করছে। তাই এখন ও সময় আছে, অতিকথন পরিত্যাগ করুন। জনগণের মুল ভাবাবেগে ফিরে আসুন। দেশ উন্নয়নে অবদান রাখুন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • এস, আনোয়ার ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:০৪ পিএম says : 0
    একজন মানুষের ভাষাজ্ঞান, মাধুর্য ও বাচনভঙ্গিতে তার ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ