পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পয়লা জুলাই থেকেই নতুন ভ্যাট বাস্তবায়নের বিষয়ে অনড় অবস্থান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে বিষয়টি নিয়ে আরেকটি বৈঠকের পর চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল সচিবালয়ে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আইন ১ জুলাই থেকেই বাস্তবায়ন হবে, এই বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্তে আমরা অনড় আছি।’
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি সালমান এফ রহমান, আকরাম উদ্দিন আহমদ, এ কে আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর আহমেদসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভ্যাট আইন কি কার্যকর হচ্ছে- বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অফকোর্স ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে।’ রেট কী হচ্ছে- এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্য থিংস আই হ্যাভ টোল্ড দেম দ্যাট ইট ইজ গোয়িং টু বি ইফেক্টিভ ফার্স্ট অব জুলাই। রেট উইল বি অনলি ফিফটিন পারসেন্ট।’
এই দুই পয়েন্ট ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘সেটা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন।’
বৈঠকে শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আজকে ফলপ্রসু এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। শেষ করার আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষুদ্র আকারে আরেকবার বসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায়। আমাদের অনেক কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের এটা মেয়াদেরও শেষ সময়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে একদিকে ভ্যাট আইনটা যেমন কার্যকর করতে হবে। অপরদিকে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে আমাদের দেশীয় শিল্পগুলো নিয়েও আমাদের আলোচনা করতে হবে। কারণ, আমরা তো আমাদের দেশীয় শিল্পকেও সংরক্ষণের চেষ্টা করি।’
অর্থমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা জিনিস তিনি বলে গেছেন, এই সরকার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেবে। এমন সিদ্ধান্ত হবে, যাতে জনগণ খুশি হবেন, ব্যবসায়ীরাও খুশি হবেন।’
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে ২ কোটি ২৪ লাখ প্রান্তিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। কিন্তু ভ্যাট পাই আমরা একেবারেই কম। এই মার্জিনাল বিজনেস কমিউনিটির জন্যই আমরা এখানে রিপ্রেজেন্ট করছি। আমরা চাই এটা সিমপ্লিফাইড ওয়েতে এবং বিজনেস কমিউনিটিকে যুক্ত করে তারপর যাতে ভ্যাট আইনের প্রয়োগ করা হয়। যেহেতু ২০১২ সাল থেকে বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত এসেছে, সেহেতু অবসারভেশন ইজ জেনুইন। তিনি এটা বিবেচনায় নিয়েছেন। উনি নোট নিয়েছেন এবং আমাদেরকে উনি বলেছেন, আরেকবার আলোচনা করে বাস্তবায়নে যাবেন।’
ভ্যাট ১০ শতাংশ রাখতে ব্যবসায়ীদের দাবি মন্ত্রী মেনে নিয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনো তিনি সিদ্ধান্ত দেননি।’
আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন কার্যবকর হবে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের বিষয়গুলো সুরাহা করে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে যেন তা করা হয়। আমরা মনে করি, এটি জনগণের সরকার। জনগণের সেন্টিমেন্ট এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সেন্টিমেন্টকে উপেক্ষা করে এটি করবে না বলে আমাদের বিশ্বাস।’
আলোচনা করে দাবি আদায়ের সময় এখনো আছে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আলাপ আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা রাখতে চাই।’
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা ও ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেটা বলতে চাই, অর্থমন্ত্রী কিন্তু এক্সটেনশন অব ব্যুরোক্র্যাসি নন। আমলারা যা বলে দেবেন, তা করা তার কাজ না। উনি জনগণের প্রতিনিধি। তাকে কনজিউমার ইন্টারেস্ট দেখতে হবে। ১৫ শতাংশের টোটাল ভ্যালু কনজিউমার লেভেলে যাতে ৪৫ শতাংশ না হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যারা কিনে কনজিউমারের কাছে বিক্রি করেন, সেখানে ভ্যাটের রেট যেন দশমিক ৫ শতাংশের বেশি না হয়। ইউরোপে এটা দশমিক ৮ শতাংশ আছে। আমাদের এখানে যাতে সবাই ভ্যাট দিতে আগ্রহী হয়। ১৫ শতাংশ দিতে হলে কেউ আগ্রহী হবে না। তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতি হবে।’
মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি এটাকে নাগালের মধ্যে রাখুন। এ জন্য দশমিক ৫ শতাংশ করুন। এখন উনি যেটা বিবেচনা করেন। আমরা প্রতি একশত টাকায় ৫০ পয়সার প্রস্তাব করেছি, সরকার ১ টাকা করলেও আমাদের আপত্তি নাই। এটা হলে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বাড়বে না। জিনিসপত্রের দাম নাগালে থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।