Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বি. বাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৪০ জন আহত, ১৫ বাড়িঘর ভাঙচুর, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট

ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল ও মালিহাতা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় পরাজিত প্রার্থীর লোকজন প্রতিপক্ষের ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর, গবাদিপশু, ঘরের আসবাবপত্রসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘মাইক’ প্রতীকে শিউলী আক্তার সেলিম ও ‘তালগাছ’ প্রতীকে রওশন আরা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনে ‘মাইক’ প্রতীকে শিউলী আক্তার সেলিম বিজয়ী হন। রোববার নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে শিউলীর সমর্থক লিয়াকত আলী রৌশন আরার সমর্থক সুমনকে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে এদিন বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় মধ্যপাড়ার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য জাকির ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফারুকের নেতৃত্বে শতাধিক দাঙ্গাবাজ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন মালিহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠসহ গ্রামের ১০টি স্পটে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষটি বুধল ইউনিয়নের বুধল ও মালিহাতা গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেয়। থেমে থেকে কয়েক দফায় দুপুর একটা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কোরবান আলীর দু’টি, ফারুক মিয়ার তিনটি, রাশেদ মিয়ার দু’টি, আবু শামার একটি, নুরুল ইসলামের একটি, জাকিরের একটি ঘরসহ ১৫টি ঘর ভাঙচুর এবং ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি, ফ্রিজ, কম্বলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ছাড়া কোরবান আলীর পাঁচটি গরু, সামছুল হকের তিনটি, ফারুক মিয়ার একটি গরু লুট করে নিয়ে যায় দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে দানা মিয়া, হারুন মিয়া, বাবুল মিয়া, কামাল হোসেন, তামিম, মাজহারুল, নুর আহমেদ, মুসা আলী, হযরত আলী, মোবারক, টুক্কু মিয়া, সোহেল, মামুন, এনামসহ অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে নাসিরউদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈনুর রহমান জানান, পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১০ সংঘর্ষকারীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ