পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই’ মর্মে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পবিত্র ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। কোন মুসলমানই বিন্দুমাত্র ঈমান থাকতে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে পারে না। একজন ঈমানদার তা কখনও মেনে নিতে পারে না বা অন্য কাউকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে পারে না। এটা মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ, যা ইসলাম বিদ্বেষী মহল, বে-দ্বীন, মুসলিম নামধারী মুরতাদ ও ইবলিসের প্ররোচনা। কুরআন মজিদে আল্লাহতা’য়ালা স্পষ্টভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন, বিতাড়িত ইবলিস (শয়তান) মহান আল্লাহকে বলেছিল : আমি আপনার বান্দাদের বিশাল একটি অংশ আমার (শয়তান) দলে ভাগিয়ে নেব। আমি তাদের পথভ্রষ্ট করব। গোমরাহ বানিয়ে ছাড়বো। পশু বা জীব-জানোয়ারে রূপান্তরিত হতে প্রোরচনা বা নিদের্শনা দিব। যাতে তারা সুন্দর মানবাকৃতির পরিবর্তন করে জন্তু-জানোয়ার সেজে বসে। মূলত যারা শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারা চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূরা নিসা, আয়াত ১১৮।
গতকাল বিশিষ্ট শীর্ষ উলামা-কেরাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কুরআনের আলোচ্য নির্দেশনার আলোকে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পশুআকৃতিরূপী মুখোশ নিয়ে সাজা চিরতরে হারাম ঘোষিত হয়েছে। মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের জন্য সরকারী সার্কুলার জারি করে সরকার কাদের খুশি করতে চান তা বোধোগম্য নয়। ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে এহেন গর্হিত হারাম কাজ গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়ার দুঃসাহস সরকার দেখাবে না বলে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম মনে করেন। তবে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও সরকারের অর্জন ক্ষুণœ করতে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও উস্কানি দিচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি থাকা জরুরি।
বিবৃতিতে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন: ‘পবিত্র কা’বা ঘরে উলুধ্বনি হয়’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আদৌ ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ইসলামের কোন ক্ষতি করবেন না বলে বারবারই ওয়াদা করছেন, তাই আমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও ইসলাম প্রিয় সকল মহলের প্রতি ইসলামবিরোধী সকল কার্যকলাপ, কালা-কানুন, কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি বন্ধে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় মহান আল্লাহর গজবে পড়তে হবে।
বিবৃতিদাতার মধ্যে রয়েছেন- শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা আজিুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।