Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মঙ্গল শোভাযাত্রা ইবলিসের প্ররোচনা ঈমানদার মুসলমান মানবে না

উলামায়ে কেরামের বিবৃতি

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই’ মর্মে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পবিত্র ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। কোন মুসলমানই বিন্দুমাত্র ঈমান থাকতে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে পারে না। একজন ঈমানদার তা কখনও মেনে নিতে পারে না বা অন্য কাউকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে পারে না। এটা মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ, যা ইসলাম বিদ্বেষী মহল, বে-দ্বীন, মুসলিম নামধারী মুরতাদ ও ইবলিসের প্ররোচনা। কুরআন মজিদে আল্লাহতা’য়ালা স্পষ্টভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন, বিতাড়িত ইবলিস (শয়তান) মহান আল্লাহকে বলেছিল : আমি আপনার বান্দাদের বিশাল একটি অংশ আমার (শয়তান) দলে ভাগিয়ে নেব। আমি তাদের পথভ্রষ্ট করব। গোমরাহ বানিয়ে ছাড়বো। পশু বা জীব-জানোয়ারে রূপান্তরিত হতে প্রোরচনা বা নিদের্শনা দিব। যাতে তারা সুন্দর মানবাকৃতির পরিবর্তন করে জন্তু-জানোয়ার সেজে বসে। মূলত যারা শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারা চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূরা নিসা, আয়াত ১১৮।
গতকাল বিশিষ্ট শীর্ষ উলামা-কেরাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কুরআনের আলোচ্য নির্দেশনার আলোকে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পশুআকৃতিরূপী মুখোশ নিয়ে সাজা চিরতরে হারাম ঘোষিত হয়েছে। মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের জন্য সরকারী সার্কুলার জারি করে সরকার কাদের খুশি করতে চান তা বোধোগম্য নয়। ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে এহেন গর্হিত হারাম কাজ গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়ার দুঃসাহস সরকার দেখাবে না বলে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম মনে করেন। তবে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও সরকারের অর্জন ক্ষুণœ করতে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও উস্কানি দিচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি থাকা জরুরি।
বিবৃতিতে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন: ‘পবিত্র কা’বা ঘরে উলুধ্বনি হয়’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আদৌ ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ইসলামের কোন ক্ষতি করবেন না বলে বারবারই ওয়াদা করছেন, তাই আমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও ইসলাম প্রিয় সকল মহলের প্রতি ইসলামবিরোধী সকল কার্যকলাপ, কালা-কানুন, কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি বন্ধে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় মহান আল্লাহর গজবে পড়তে হবে।
বিবৃতিদাতার মধ্যে রয়েছেন- শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা আজিুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:২৭ পিএম says : 0
    মাওলানা সাহেবরা এখানে কোরান হাদীস নিয়ে যা বলেছেন সেটা সত্য কিন্তু আবার যেভাবে ধমক দিয়েছেন সেটা ঠিক নয়। আল্লাহ্‌ বলেছে আল্লাহ্‌র হাবিবকে ওনার কথা জনগণের কাছে পৌছাতে কিন্তু জোর করে চাপাতে নয়। কাজেই আমরা মুসলমানরা বিভিন্ন কর্ম কান্ড যানাকি ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক সেটা সরকার কোন ভাবেই চাপাতে পারেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী কাজেই ওনাকে যদি কোরান দিয়ে বুঝানো যায় কেন তিনি বুঝবেন না??? মূর্তি বাঁ জানোয়ারের ছবি নিয়ে খেলা করা কিংবা ধারন করা ইসলাম বিরুধি এটা নিশ্চয়ই নেত্রী হাসিনা জানেন। তারপরও যদি তিনি এর উপর বিরুপ ভাবাপন্ন হন তাহলে এটা অবশ্যই ওনার জন্য গর্হিত কাজ। মহান আল্লাহ্‌ এর বিচার অবশ্যই করবেন এতে কোনই ভুল নেই। আমার জনা মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের উদ্যোগে কাওর কথা না শুনে ইসলাম ধর্ম জাতীয় ধর্ম এটা সংসদে পাশ করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর সেই তিনি যদি এখন মঙ্গল শোভাযাত্রা করা বাধ্যতা মূলক করেন আমি বলতে পারি তাহলে শেখ হাসিনার অমঙ্গল অবধারিত কোন সন্দেহ নেই। এমনকি আমি এটাও দেখব যে, আগামিতে তিনি আর ক্ষমতায় নেই এটাই সত্য। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ