পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একে পার্টি সমর্থকদের উল্লাস : ৬০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার দাবি বিরোধীদের
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের জনগণ দেশের শাসনপদ্ধতিতে মৌলিক পরিবর্তন ও প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা অর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছে। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে সামান্য ব্যবধানে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায়ন ও সংবিধানে মৌলিক ১৮টি পরিবর্তন আনয়নের পক্ষে রায় আসে। ৯৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট গণনার পর হ্যাঁ এর পক্ষে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ৪৮ দশমিক ৬৮ এর বিপক্ষে ভোট দেয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, অবশিষ্ট সব ভোট না-এর বাক্সে গেলেও তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাবে না। এ ধরনের সমীকরণের মাঝেই প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের একে পার্টি অফিসের সামনে বিজয়োল্লাস শুরু হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট বিরোধীদের প্রতি তাকে অভিনন্দন জানানোর আহŸান জানান।
সার্বিকভাবে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের হ্যাঁ এর পক্ষে রায় এলেও তাকে ধাক্কা খেতে হয়েছে বড় বড় শহর, ইউরোপের কয়েকটি দেশে এবং কুর্দি অধ্যুষিত সাগর তীরবর্তী এলাকায়। ফলাফলে দেখা গেছে, আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমির এবং কুর্দি অধু্যুষিত এলাকায় না ভোট পড়েছে বেশি। ওদিকে ব্রিটেন প্রবাসী তুর্কিরা প্রায় ৮১ শতাংশ এবং গ্রিস প্রবাসী তুর্কিরা ৭৭ শতাংশ না ভোট দিয়েছেন।
এদিকে গতরাতেই হ্যাঁ-এর পক্ষে রায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম ভাষণ দিয়ে সংবিধান সংশোধন ও প্রেসিডেন্টের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেবার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। এ রায়ের ফলে দেশটিতে যেসব মৌলিক পরিবর্তন আসতে পারে সেগুলো হচ্ছেÑ
প্রথমত: এই সাংবিধানিক পরিবর্তনে তুরস্কের পার্লামেন্টারি পদ্ধতি বদলে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার প্রবর্তনের সম্ভাবনা আছে। প্রেসিডেন্ট হবেন নির্বাহী প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, এবং রাজনৈতিক দলের সাথেও তার সম্পর্ক বজায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ভ‚মিকা বিলুপ্ত করে দুই বা তিন জন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তৈরি করা হবে।
প্রেসিডেন্ট হাতে পাবেন নতুন ক্ষমতা। তিনি মন্ত্রীদের নিয়োগ দেবেন, বাজেট তৈরি করবেন, সিনিয়র বিচারপতিদের অধিকাংশকে নিয়োগও দেবেন তিনিই এবং ডিক্রি জারি করে কিছু বিষয়ে আইনও করতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট একাই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট আর মন্ত্রীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারবে না।
তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটেএমপিরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। প্রেসিডেন্টর বিচারের জন্য দুই তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগবে। এমপিদের সংখ্যা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে হবে। প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
জনবা এরদোগানের কথায়, এসব পরিবর্তন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দ্রæততর করবে।
কিন্তু তার সমালোচকরা বলছেন, এতে জনাব এরদোগানের স্বৈরশাসন কায়েম হবে, গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।