পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ওএমএসের চাল ও আটা চালু আছে : খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি চালের ৩৪ টাকা ও ধানের ২৪ টাকা। এবার মোট সংগ্রহের মধ্যে ৭ লাখ টন থাকছে ধান, যা কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হবে। এ ছাড়া ২৮ টাকা কেজি দরে গম কেনা হবে। সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২মে থেকে শুরু হয়ে এ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এবার ৮ লাখ টন বোরো চাল কেনা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, এরমধ্যে এক লাখ টন হবে আতপ চাল। প্রতি কেজি আতপ চালের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ টাকা।
গত বছর বোরোতে ১৩ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করে সরকার। এরমধ্যে ৭ লাখ টন ধান ও ৬ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ মূল্য ছিল প্রতি কেজি চালের ৩২ টাকা ও ধানের ২৩ টাকা।
কৃষকদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৭ লাখ টন ধানের মূল্য পরিশোধ করা হবে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেছেন, যাতে টাকা সরাসরি কৃষকদের হিসাবে জমা হয়। কোনো রকম মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য না থাকে।
বোরো ধান ও চালের উৎপাদন খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেছেন, ধানের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা ও চালের উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩১ টাকা। সারাদেশে এবার বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা টার্গেট পূরণ করতে পারব। হাওর অঞ্চলের বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, হাওর এলাকায় প্রতি বছরই একটু ক্ষতি হয়, এবার ক্ষতিটা একটু বেশি হয়েছে, প্রায় সাড়ে চার লাখ টন চালের আকারে ক্ষতি হবে হাওর এলাকায়। ভাল জায়গায় যেভাবে বাম্পার ফলন হয়েছে, তাতে এ সাড়ে ৪ লাখ টন ক্ষতি আমাদের পুষে যাবে। কোনো রকম অসুবিধা হবে না।
বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার বিষয়ে সভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা ওএমএসের চাল ও আটা দিচ্ছি, যেটা বন্ধ ছিল; আমরা চালু করে দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরই। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি তো চলমান আছে।
২৮ টাকা দরে এক লাখ টন গম সংগ্রহ
এ ছাড়া এক লাখ টন গম সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতি কেজি গমের মূল্য হবে ২৮ টাকা। আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরো বলেছেন, গমের উৎপাদন খরচ ২৮ টাকার মতোও পড়েছে।
খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।