পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1735328045](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হেফাজতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় পর্দার আড়ালে রহস্য থাকতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, হেফাজতের নেতারা যেসব দাবি করতেন, ধীরে ধীরে সেগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকার আপস করছেন।
গ্রিক দেবীর মূর্তির বিষয়ে বললেন, সেটা নাকি আপনারও ভালো লাগে না। দাওরায়ে হাদিসকে এম এ পাসের সমমর্যাদা দিলেন, তাতে আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির এই নাটকীয় পরিবর্তনে সন্দেহ জাগে। আগাম নির্বাচন দেবেন কি না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জাতীয় নির্বাচন : নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনমুখী চিন্তার কারণে মনে হয় তাঁরা নিজের পক্ষে ভোট টানার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। হেফাজতের মধ্যে আরও যেসব সংগঠন আছে, তাদের সঙ্গেও প্রকাশ্যে বা গোপনে আলোচনা হতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল ইসলাম, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তার পানি চুক্তি না হওয়ার প্রসঙ্গে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গেলেন, আমরা চাতক পাখির মতো বসে থাকলাম। তিস্তা দিয়ে কলকল করে পানি আসবে। চাইলেন পানি, দিল বিদ্যুৎ। চাইলেন কামান, দিল বিস্কুট কিংবা ললিপপ। তিনি বলেন, টিভিতে দেখলাম মমতা বলেছেন, আমাদের তিস্তার পানি নেই, কোথা থেকে দেবো। তিস্তার বদলে আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে এমন চারটি খালসম নদী দেখিয়ে দিলেন। প্রশ্ন হলো, তিস্তায় পানি যদি নাই থাকে তবে ওটা বাংলাদেশকে দিতে বাধা কোথায়? তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য আরো চমকপ্রদ। ‘কুছ তো মিলা’। পানি মাংগা তো ইলেকট্রিসিটি মিলা।’ প্রচার করা হচ্ছে মমতা রাজী হন নাই, তাই মোদী তিস্তার পানি দিলেন না। প্রশ্ন কে বড়ো দিল্লী, না কলকাতা? মমতা না মোদী?
বি. চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার প্রয়োজনে সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনকালীন সরকারের একটি প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল থেকে ৫জন মন্ত্রী এবং খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দল থেকে জন প্রশাসন ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ ৫ জনকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। সে প্রস্তাবে ফিরে যান। শেখ হাসিনার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে খালেদা জিয়া একটি ভুল করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির প্রয়োজনে এ প্রস্তাবে ফিরে যেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।