Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি অপসারণ করতে বাধ্য করতে হবে

মূর্তি না সরালে ২১ এপ্রিল মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মতবিনিময় সভায় পীর সাহেব চরমোনাই
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে গতকাল (রোববার) বেলা ১১টায় দেশের উলামায়ে কেরামের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মতবিনিময় সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে চারুকলা ইনস্টিটিউটে গরুর গোস্তের তেহারী পাকের অপরাধে বাবুর্চিকে মারধরের ঘটনা এবং নারায়ণগঞ্জে গরুর গোস্ত পাক করায় মন্দিরের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের গ্রেফতার কোনোভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব বলেন, গণভবনে উলামাদের সাথে মতবিনিময়কালে গ্রিক মূর্তি অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি ২০ এপিলের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় মহাসমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি অপসারণ করতে হবে এবং প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহারও অপসারণ করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি। মঙ্গল শোভাযাত্রা, মূর্তি ও ইসলাম সাংঘর্ষিক। ইসলাম এসেছে মূর্তি ধ্বংস করতে। যারা মূর্তির সংস্কৃতি লালন করে বা মানে তারা ঈমানদার নয়। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে প্রধান বিচারপতি মূর্তিস্থাপন করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। কারণ সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের কোর্ট নয়। এটা দলমত নির্বিশেষে সকলের কোর্ট এবং বিচারপতি সকল স¤প্রদায়ের বিচারপতি। কাজেই প্রধান বিচারপতি মূর্তিস্থাপনের মাধ্যমে তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচারপতির চেয়ারে থাকার অধিকার হারিয়েছেন। পীর সাহেব ২১ এপিলের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী,  খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়াসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূর্তিস্থাপন জানেন না বলে জানিয়েছেন, আমার প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি নিয়োগও প্রধানমন্ত্রী জানেন কিনা? আসলে দেশ এখন দিল্লির প্রেসক্রিপসনে চলছে। এ জন্যই চারুকলায় গরুর গোস্ত পাক করায়মুসলমান বাবুর্চিকে মারধার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গোস্ত পাক করায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় বরং অশুভ ইঙ্গিত। দেশ কোন দিকে যাচ্ছে। ২০ এপিলের মধ্যে মূর্তি না সরালে প্রধান বিচারপতিকে সরানোর আন্দোলনও গড়ে উঠবে।
ড. ঈসা শাহেদী বলেন, মসজিদের নগরী এখন মূর্তির নগরীতে রূপ নিয়েছে। গ্রিক মূর্তি হিন্দুরাও পছন্দ করেন না। প্রধানমন্ত্রীরও পছন্দ নয়, তারপরও মূর্তি থাকতে পারে না। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করতে হবে অন্যথায় সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে। সিলেবাস সংশোধনে যেভাবে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল মূর্তি সরাতেও পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি ও মূর্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আশা ও নিরাশার ইঙ্গিত আছে। এই ঘোষণার ফলে বাতিল ও তাগুতি শক্তিগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ