পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী সব নির্বাচনের চাবি নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকবে, চাবি অন্য কারো কাছে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রায় ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ, উপ-নির্বাচন শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে ছোট ছোট যে নির্বাচন গুলো আছে আশা করা যায় সে নির্বাচনের চাবি ইসির হাতেই থাকবে। অন্য কেউ কলকাঠি নাড়াবেনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আশা করা যায়, নির্বাচন কমিশন যেভাবে আগাচ্ছে এবং তাদের যে প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রæতি রয়েছে। আমি মনে করি ,তাদের প্রত্যাশা আরো বাড়বে এবং এটা ভালোর দিকেই যাচ্ছে। এবং চাবি সবসময় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকবে। চাবি কারো কাছে যাবে না।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি কমাতে কমিশন কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যে প্রশিক্ষণগুলো হচ্ছে, সেখানে আমাদের নির্বাচন কমিশনার মহাদয়রা যাচ্ছেন, ডিসি এসপি এরা যাচ্ছেন, এছাড়া রিটার্নিং অফিসার তাদের সাথেই আছেন। তাদের কাছে একটা ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এই বিষয়ে তাদের সহযোগিতা কামনা করা এবং তাদের যেকোনো অসুবিধা তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যবস্থা নেয়া। এটা তাদেরকে আশ্বস্ত করা এবং তারা বুঝতেও পারছে যে, তারা মেসেজ দিয়ে সরাসরি অ্যাকশন পাচ্ছে। এটা উল্লেখ করতে পারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব প্রিজাইডিং অফিসারদের মোবাইল নাম্বার আমাদের কাছে ছিল। এমন একটা সিস্টেমও আমরা তৈরি করেছিলাম। এসএমএসের মাধ্যমে আমাদের পরিস্থিতি জানাতে এবং সেই পরিস্থিতি জানানো পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।
সচিব বলেন, আজকের নির্বাচন খুব ভালো হয়েছে। সারাদেশে আজকে প্রায় ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ এবং উপ-নির্বাচন ছিল। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ বা স্থগিত হয়নি এবং সকল অ্যাঙ্গেল থেকে আমরা যে তথ্যগুলো পেয়েছি তাতে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তৃণমূলের যেকোনো নির্বাচনে আমরা অতীতে দেখেছি মারামারি বা এক ধরনের ভোট বাক্স দখল করা এই জায়গাগুলো থেকে আপনারা কতটুকু বের হতে পেরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো শুরু থেকেই এটা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি এবং এটার জন্য থ্রেটটা সেই থ্রেটটা মনে হয় আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি। যারা নির্বাচনের রাতে প্রহরার নিয়োজিত বা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের ভেতরে একটা ভীতি কাজ করতেছে যে কোনো কিছু হলে নির্বাচন কমিশন হয়তো এটাকে স্পেয়ার করবে না। এটাই মূল কারণ এবং আমরা ওয়াচ করছি।
তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনকে আমরা ছোটভাবে দেখছি না। এই নির্বাচনেও আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে, চারজন নির্বাচন কমিশনার মফস্বল পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনিটরিং করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় জামালপুরে গেছেন যেখানে ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেখানে চারটিতে নির্বাচন হয়েছে, দুটি স্থগিত হয়েছে। একজন সিইসি একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য একটা জেলায় যেতে পারেন। এতে বুঝতেই পারা যায়া এরা কতটুকু গুরুত্বের সাথে এই নির্বাচনগুলো দেখছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পুরো নির্বাচন কমিশনই এই নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যেভাবে সভা করেছেন। তার একটা ইম্পেক্ট আজকে নির্বাচনে পড়েছে।
ইসি সচিব বলেন, আমার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চিত্র কিছুটা পাল্টেছে এটা আমি বলতে পারি। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়েছে। আমি মনে করি সামনের দিনগুলোতে একটু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে আমরা শুনতে পাচ্ছি স্যার নির্বাচন ভালো হচ্ছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছি। মাঠ পর্যায় থেকে আমার সহকর্মীরা, আমার জুনিয়ররা প্রতিনিয়তই বলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।