Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিচার বিভাগের সঙ্গে দ্ব›দ্ব কাম্য নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে দ্ব›দ্ব কাম্য নয়। রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে এবং একে অপরের সম্পূরক হিসেবেই কাজ করবে। একে অপরকে অতিক্রম করবে না, বা এখানে ক্ষমতার শক্তি দেখিয়ে নয়, ক্ষমতা কারো কিন্তু কম নয়। এখন কে কাকে সম্মান করবে এবং কে কাকে করবে না, কে কার সিদ্ধান্ত মানবে আর কারটা নাকচ করবে এই দ্ব›েদ্ব যদি আমরা যাই তাহলে কিন্তু একটা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত আবাসিক ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গকেই যথাযথভাবে তার কর্মপরিকল্পনা চালাতে হবে। সেই সাথে আমি আরেকটু বলব, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সকলের কিছু কিছু ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি, যেটা জনস্বার্থের পক্ষে কতটা করলে জনস্বার্থ ব্যাহত হতে পারে, তিনটি অর্গানের মধ্যে দ্ব›দ্ব হতে পারে- এই বিবেচনাটুকু সকল পক্ষের থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে এই তিনটি অঙ্গকেই যথাযথভাবে তার কর্মপরিকল্পনা চালাতে হবে। সেই সাথে আমি আরেকটু বলব, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সকলের কিছু কিছু ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি, যেটা জনস্বার্থে পক্ষে কতটা করলে জনস্বার্থ ব্যাহত হতে পারে, তিনটি অর্গানের মধ্যে দ্ব›দ্ব হতে পারে- এই বিবেচনাটুকু সকল পক্ষের থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। গণপূর্ত সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিচারপতিদের জন্য নির্মিত প্রায় দেড় একর জমির ওপর আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ২০ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন। সেখানে ৩৬শ’ বর্গফুটের বেশি আয়তন সম্বলিত ৭৬টি ফ্লাট রয়েছে। ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটিতে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, সোলার সিষ্টেমসহ আধুনিক সব ধরনের আবাসন সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে অভিশাপমুক্তকরণে সহযোগিতার জন্য বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইন প্রণয়ন সম্পর্কে বলেন, আমরা হঠাৎ করেই সংসদে কোন আইন পাস করি না। এটা একটি দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মধ্যদিয়ে আসে। একটি আইন যখন মন্ত্রণালয় থেকে কেবিনেট ডিভিশনে আসার পর সেখান থেকে আমরা কেবিনেটে বসে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেই। এরপর এটি চলে যায় আইন বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য। সেখান থেকে ভেটিং হয়ে আবার কেবিনেটে আসার পর সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর এটা চলে যায় সংসদে। সংসদে বিল আকারে যাবার পর সেটার সঙ্গে যদি আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে যায় এবং তিনি সই করে দেন। সেখানে থেকে সংসদে আসার পর বিল আকারে এটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। এ সময় বিরোধী পক্ষের কারো যদি বিলটির বিষয়ে কোন আপত্তি থাকে ওই সময়ই তারা চাইলে আপত্তি দিতে পারেন। এরপর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হলে সেটা গ্রহণ করা হয় আবার বিলটি ফেরত পাঠানো হয়। আর যদি আপত্তি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে সেটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে চলে যায় এবং ওই কমিটিতে দীর্ঘদিন এটা আলাপ-আলোচনা হয়। সবশেষে ওই কমিটি আবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে। সংসদে উত্থাপনের পর সময় দেয়া হয়- যদি কেউ এখানে কোন সংশোধনী দিতে চান এবং দফাওয়ারি সংশোধন এবং জনমত যাচাইয়ের জন্য। যারা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করবেন তারা সংসদে এর স্বপক্ষে বক্তব্য দেবেন এবং এরমধ্যে দফা ওয়ারি সংশোধনী দিলে সেগুলো গ্রহণ করেই বিলটি পাস করার জন্য এবং বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হয়। তারপর পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা আইন এতগুলো ধাপ পেরিয়ে তারপর পাস করি এবং প্রতিটি আইন যখন পাস করা হয় তখন বিষয়টি নেয়াই হয় জনগণের কোন না কোন স্বার্থে। আর সেই আইনটি যদি আমরা দেখি দু’জন বসে নাকচ করে দিলেন। আর কিছুই করার থাকলো না। তাহলে এতদিন ধরে খাটা-খাটুনি, সরকারি অফিসার থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাই মিলে যে খাটা-খাটুনি করলো সব কিন্তু ব্যর্থ হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সব ক্ষেত্রে বোধ হয় আরো বিবেচনার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আমি আর একটি কথা বলব, এখানে প্রধান বিচারপতি কিছু প্রসংগ তুলেছেন- তাকে অনুরোধ করবো- প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া। এখানে আমার কিন্তু কোন ক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, সংবিধানেই আছে প্রেসিডেন্ট যখন বিচারপতি নিয়োগ দেন তখন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করবেন। কাজেই এখানে কোনরকম কিছু হলে সেটা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করাটাই ভালো। আর এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় থাকলে নিশ্চয়ই আমরা সেটা দেখব। আমি চাই না এ রকম কোন কথা উঠুক যে আমাদের দ্ব›দ্ব বা কোন কিছু আছে। এ ধরনের কথা উঠলে এটি সমগ্র জাতি বা জনগণের জন্য ভালো হবে না। বিচার বিভাগের ইমেজ সেটাও যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে তেমনি লেজিসলেটিভ এবং এক্সিকিউটিভ সমন্ধেও জনগণ একটা ভুল ধারণা নিয়ে যাবে। যে কোন বিষয় আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত এবং সেগুলো বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিতে হয়, বিএনপির শাসনামলে দুই দুইজন বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করেছে। গাজীপুর এবং ঝালকাঠিতে, এরকম ঘটনাও ঘটে গেছে বাংলাদেশে এবং তারপর থেকে আমরা শংকিত হই। কাজেই বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আমরা চিন্তা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিচার বিভাগকে আমরা আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে বসেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যেন বিচারকার্য করা যায়। তিনি বলেন, যারা ভয়ংকর আসামী তাদের আদালতে আনা একটি কঠিন কাজ । ইতোমধ্যেই আসামী ছিনতাইয়ের চেষ্টাও হয়েছে আমরা দেখেছি। কেরাণীগঞ্জের যে জেলখানা করা হয়েছে সেখানে আমি নির্দেশ দিয়েছি আদালতে বিশেষ রুম করে দেয়ার। যেন ঢাকা থেকে বসেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওখানে বিচারকার্য পরিচালনা করা যেতে পারে। আসামী নিয়ে যেন টানাটানি করতে না হয় সেখানে আইনজীবীরাও থাকবেন সেরকম ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। আর এ ধরনের আধুনিক বিচার ব্যবস্থা বিশ্বে চালু আছে আর আমরা সেটাই অনুসরণ করতে চাই।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করতে চাই এবং আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে গতকাল ১লা বৈশাখ সেখানে নানা ধরনের হুমকি আমরা পেয়েছিলাম। যদিও তখন কাউকে বলিনি এবং যেহেতু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী সংস্থা একটা সক্রিয় ছিলেন, যে কারণে সমগ্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
ন্যাম ফ্লাটে যেসব এমপি থাকছেন না- তাদের বরাদ্দ বাতিল হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ সদস্যদের ন্যাম ফ্লাট ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যেসব সংসদ সদসরা ন্যাম ফ্লাট বরাদ্দ নিয়ে সেখানে থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হতে পারে।
তিনি বলেন, যারা নিজেরা থাকবেন, ন্যাম ফ্লাটে শুধু সেই এমপি’রা থাকবেন। আর যারা নিজেরা না থেকে ন্যাম ফ্লাট নিয়ে রেখেছেন- তাদের নাম কাটা যাবে।’ আর যারা নিজেরা না থেকে লোক রাখবেন- ড্রাইভার রাখবেন, কাজের লোক রাখবেন, কর্মকর্তা রাখবেন, এভাবে যারা ব্যবহার করবেন সেটা তারা নাখালপাড়ায় আমাদের করে দেয়া যে এমপি হোষ্টেল আছে সেখানে করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবনির্মিত ভবনসমূহের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা নিজেরা থাকবেন, ন্যাম ফ্লাটে শুধু সেই এমপি’রা থাকবেন। আর যারা নিজেরা না থেকে ন্যাম ফ্লাট নিয়ে রেখেছেন- তাদের নাম কাটা যাবে। যারা থাকবেন না, ঠিক আছে নাখালপাড়ায় থাকেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আর যেসব সংসদ সদস্য পরিবার নিয়ে থাকছেন বা নিজেরা থাকছেন তাদের জন্য ন্যাম ফ্লাট বরাদ্দ থাকবে। তাহলে এটার রক্ষণাবেক্ষণও ভালো হবে। এটা আমি পার্টি মিটিংয়ে বলেছিলাম, আপনারা শোনেন নাই। তাই আজকে পাবলিকলি বললাম। আর চিফ হুইপকে বললাম যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে তার ব্যবস্থা আমি নেব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আব্দুর রব হাওলাদার। গণপূর্ত সচিব মো.শহীদুল্লাহ খন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, জাতীয় সংসদের হুইপবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শেরেবাংলা নগরে এই অত্য্যাধুনিক সরকারি আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এখানে ২০ তলা করে ৮টি ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ৪৪৮টি ফ্লাট নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে ভবনগুলো আমরা তৈরি করে দিলাম এ সম্পর্কে আমি একটি বিষয় বলব, এটা যথাযথবাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’ এ মানসিকতা যেন না থাকে। কারণ সরকার কার ? আপনাদের সরকার। টাকাটা দেশের জনগণের টাকা। কাজেই প্রতিটি সরকারি জিনিস যেন সুন্দরভাবে সুরক্ষিত থাকে। নিজের গরজেই এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজটা করতে হবে। সেটা যে যেখানেই থাকেন না কেন। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে বা চলতে চলতে একটা পানির বোতল ছুঁেড় মারলাম- সেভাবে যেন নোংরা করা না হয়। তিনি বলেন, একটা কল ব্যবহার করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভেঙ্গেই ফেললাম, ওটাতো সারিয়ে দেয়াই হবে- ফ্যান ছেড়ে রাখলাম, পানির কল ছেড়ে রেখে অপচয় করলাম- এই মানসিকতাটা যেন কারো না থাকে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় অনুষ্ঠানে চিফ হইপ প্রদত্ত বক্তব্যের আলোকে বলেন, ‘চিফ হুইপ বললেন এমপিদের থাকার জায়গা- এগুলো নষ্ট হয়ে গেছে নড়বড়ে হয়ে গেছে ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো তো এত তাড়াতাড়ি খারাপ হবার কথা নয়। কারণ এমপি’রা যেমন ন্যাম ফ্লাট নেবেন অথচ কেউ থাকবেন না। আর যাদের সেখানে রাখেন তারা কিন্তু সেখানে থেকে ঐ জায়গাটির কিভাবে যতœ নিতে হবে সে বিষয়ে যতœবান না। এটা হলো বাস্তবতা। আর বারবার নষ্ট হলে এটাকে সারাতে হবে। এরপর থেকে সেখানকার কিছু যদি নষ্ট হয় তবে, এমপিদের কাছ থেকে টাকা কেটে নেব। টাকা কেটে নেব, আমি ছাড়ব না, বলে দিয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গৃহস্থালী কাজে এবং ব্যক্তিগত কাজে পানির অপচয় বন্ধ করে সাশ্রয়ী হবার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজে করতে পারলে আপনারা পারবেন না কেন। আর এখনি সাশ্রয়ী না হলে ভবিষ্যতে পানির জন্য আরো ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে বলেও প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, শুধু ঢাকা শহরে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখলে হবে না, ঢাকার বাইরে যারা আছেন- জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত যারা আছেন, আমাদের সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারি যেন ভালভাবে থাকতে পারেন এজন্য আমরা একদম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ফ্লাট করে দেব। যেন দিন শেষে কাজ করে ঘরে ফিরে সকলে একটু হলেও আরামে থাকতে পারেন। একটু নিজের মত করে থাকলে পরদিন কাজ আরেকটু বেশি করতে পারবেন এবং দেশটাও আমরা আরো দ্রæত উন্নতি করতে পারব।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৫২ এএম says : 0
    এখানে প্রধানমন্ত্রী খুবই সহজভাবে তিন বিভাগের ক্ষমতার দন্দের যে লড়াই চলছিল, যানাকি বিভিন্ন সময়ে বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের চিঠি চালাচালি, নাকচ বা গ্রহণযোগ্য নয় বলে একে অপরকে দোষারুপ করছিল তার সঠিক জবাব সঠিক সময়ে দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন এটা নিয়ে আর কোন তর্ক বা বিরুধের সুযোগ থাকল না কোন বিভাগেরই কারন সরকার প্রধানের কথার পর আর কোন কথা থাকতেই পারেনা। এত সহজভাবে এত কঠিন কাজটা যে আল্লাহ্‌ পাকের রহমতে নেত্রী হাসিনা করতে পেরেছেন এটা মানতেই হবে। এতদিন আমাদের মাথা নত হয়ে যেত যখন আমরা দেশের দুইটি বিভাগ বিচার ও আইন এদের মধ্যে দন্দ দেখতাম তাও আবার জনসম্মুখে! আমার মনে হয় এখন আর আমাদেরকে অসস্তিকর পরিস্থিতিতে পরতে হবে না ইনশ’আল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ