পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইভিএম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব। তিনি বলেছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে যাকেই ভোট দিন না কেন, সবই পড়বে পদ্মফুলে।’
স¤প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, এমনিতেই ভারতে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেক রাজনৈতিক দলই এখন আগেকার ব্যালট প্রথায় ফিরে যেতে চাইছে। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে ইভিএম কারসাজি নিয়ে বিভিন্ন মহল এরই মধ্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশও জানিয়েছে। এর মধ্যেই ত্রিপুরায় বিজেপি নেতার এ রকম মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।
রাজ্য বামফ্রন্টের আহŸায়ক খগেন দাশ সাংবাদিকদের ডেকে বলেন, ‘একটি সর্বভারতীয় দলের রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রদেশ তৃণমূল নেতা সুদীপ রায়বর্মণ বলেন, অবিলম্বে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মামলা করা উচিত। একই সঙ্গে তিনি বিজেপি নেতার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা নিয়েও কটাক্ষ করেন। কংগ্রেসও এর সমালোচনা করেছে।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র তাপস দে অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি দলটারই গণতন্ত্রের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তাই নির্বাচন-প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। তিনিও নির্বাচন কমিশনের কাছে অবিলম্বে ফৌজদারি মামলা করার দাবি তোলেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে বিজেপি নেতারা বিতর্কের মধ্যে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিপ্লব দেব নিজে রাজ্যের বাইরে অবস্থান করছেন। অন্যরাও তার অনুপস্থিতিতে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।