পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা-কলকাতা রেলপথের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মৈত্রী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। পহেলা বৈশাখ শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, এটি দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নববর্ষের উপহার। মুজিবুল হক বলেন, আজ বিশেষ দিনে যাত্রীদের জন্য আরো একটি আরামদায়ক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনটি চালু করা হলো। রেল খাত এগিয়ে চলেছে, নতুন নতুন কোচ ও ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা আরো উন্নত সেবা পাচ্ছে।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। আগে এই ট্রেনের বহরে ননএসি কোচ ছিল। যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখ থেকে এটি পুরোপুরি সবগুলো এসি কোচ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। মৈত্রী এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ৪৫৬। ১০টি কোচ নিয়ে বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন এটি চলাচল করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রেলসূত্র জানায়, ৪৫৬ আসনের নতুন এই ট্রেনটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির চারটি কোচ এবং চারটি এসি চেয়ার কোচ থাকবে। যাত্রীরা পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন। ২০০৮ সালের পহেলা বৈশাখে সর্বপ্রথম চালু হওয়া মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে একবার চলাচল করা থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করছে। আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের সুযোগে মৈত্রী এক্সপ্রেসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ সালে (এপ্রিল-মার্চ) পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৩২২ যাত্রী মৈত্রী এক্সপ্রেসে চলাচল করেছে। ২০১৬-১৭ সালে (এপ্রিল-মার্চ) মৈত্রীর যাত্রীর সংখ্যা শতকরা ১৯ ভাগ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১ জন। চলতি বছর মৈত্রীর যাত্রীর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেড়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।