পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই ) অবদান ১১ শতাংশ। উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এ খাতের অবদান আরও বাড়াতে হবে। এজন্য এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। এসবেরই ধারাবাহিকতায় উন্নত বাংলাদেশ গঠনের কাজ শুরু করেছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এসএমইখাতের বিকাশে আরও উদ্যোগী হতে হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বেশি প্রয়োজন। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। এসএমই খাতের বিকাশে প্রতিবন্ধকতাগুলো সর্বাগ্রে চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এসএমই খাতের অবদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনে একটি স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। কাউকে বাদ রেখে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনীতির মূলধারায় এসএমই খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকার এ খাতের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে দুটি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসহ ১৪ উদ্যোক্তার হাতে ‘১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার’ তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এবার ছয় ক্যাটাগরিতে ৬ জনকে বিজয়ী, ৪ জনকে প্রথম রানার আপ ও বাকি ৪ জনকে দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার দেওয়া হয়।
শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন নওগাঁর মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী; প্রথম রানার আপ বগুড়ার শেরপুরের মো. সাইদুজ্জামান সরকার ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন বরগুনার মো. আজিজুল হক সিকদার।
শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদরের রুমা আক্তার; প্রথম রানার আপ ঢাকার মোহাম্মদপুরের ফজিলাতুন নেছা ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন চট্টগ্রাম দামপাড়ার রুবামা শারমিন।
শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাভার আশুলিয়ার মো. রুবেল দেওয়ান। এ ক্যাটাগরিতে প্রথম রানার-আপ হয়েছেন গাইবন্ধা গোবিন্দগঞ্জের মোছা. রহিমা খাতুন (মুক্তা)। দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন পাবনার মো. তাইফুর রহমান রাজু।
শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সায়মা খাতুন। এতে প্রথম রানার-আপ হিসেবে হয়েছেন দিনাজপুরের খানসামার মো. আলতাফ হোসেন। এ খাতে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন শরীয়তপুর জাজিরার মো. নুরুল আমিন সরদার।
এই চার ক্যাটাগরির মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ীকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও বাকি তিন ক্যাটাগরির বিজয়ীকে সাড়ে তিন লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। আর সব ক্যাটাগরির প্রথম রানার আপকে দেড় লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানার আপকে একলাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সবার হাতে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এর বাইরে শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিভাগে পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) ও শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিভাগে ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) পুরস্কার পেয়েছেন।
সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ, সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহেদা ফিজ্জা কবীর এবং ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।