পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা : হঠ্যাৎ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মার চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী মাঠে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এ চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার বিঘার বোরো ধান পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে। বিস্ময়ের বিষয় গত কয়েকদিনে ফসলের এ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কৃষি দপ্তরের উর্ধ্বতন কত্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেননি।। ফলে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহতা উর্ধ্বতন কত্তৃপক্ষ না জানায় ক্ষতিপূরন পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩/৪ দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার পদ্মার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়। এতে চরাঞ্চলের চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও মাদবরচর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মাঠের বোরো ক্ষেত তলিয়ে যায়। এখনো ৪টি ইউনিয়নের প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বিঘা বোরো ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তলিয়ে যাওয়া মাঠের অধিকাংশ ধানই আধা-পাকা। এদিকে ফসল হারিয়ে চরের কয়েক হাজার কৃষকের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে। কারণ চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা এ ধান থেকেই আসে। অধিকাংশ কৃষকই এনজিও, ব্যাংক অথবা চড়া সুদে মহাজনী ঋনে টাকা এনে বোরো ধানের আবাদ করেছিল। অনেকে তলিয়ে যাওয়া ধান তোলার চেষ্টা করলেও ধান পরিপক্ক না হওয়ায় হতাশ। একদিকে ধান অপরদিকে খড়কুটা হারানোয় সামনে গবাদী পশুর খাদ্য সংকটেরও শংকা রয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এ বিষয়টি এখনো কৃষি দপ্তরের কেউই না জানায় বা পরিদর্শন না করায় ক্ষতিগ্রস্থরা চরম ক্ষুদ্ধ। ফসল হানির ব্যাপকতা তুলে ধরে দ্রæত সহায়তা ও চলমান এনজিও ব্যাংকের ঋণ মওকুফের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ।
বেপারীকান্দি গ্রামের কৃষক শাহিন বলেন, আমার ২২ বিঘা ধান ঢলের পানিতে তলাইয়া গেছে। পাকার আগেই কাইটা ফালাইতাছি। যা ধান পাবো তাতে খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আপনেরাই প্রথম দেখতে আইলেন, এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের কোন লোক খবরও নেয় নাই।
আরেক কৃষক মজিবর শেখ বলেন, আমি এনজিও থিকা ঋণ আইন্যা ধান লাগাইছিলাম। আমার মতো অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থিক্কা ঋণ কইরা ধান লাগাইছে। এহন ঋণের টাকা শোধ করুম কেমনে। সরকার যদি আমাগো দিকে না তাকায় তয় মইরা যামু।
কাঠঁলবাড়ি গ্রামের কৃষক রুস্তম মিয়া বলেন, ধান কেবল মাত্র পাকা শুরু করছে। এমন সময় হঠাৎ ঢলের পানি আইসা সব ধান নষ্ঠ কইরা দিছে। এমনভাবে ধান গাছ পইচ্যা গেছে যে গরুরে খাওয়ানের খেরও থাকবোনা। আমরা সরকারের সাহায্য চাই।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম সালাহউদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে ঢলের পানি এসে এ উপজেলার চরাঞ্চলের পদ্মা নদী তীরবর্তী বোরো ধানের মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকের ক্ষতি নিরুপণ করার চেষ্ঠা করছি। ক্ষতিগ্রস্থ ধানগুলো নদীর তীরবর্তী এলাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।