পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষীরা ব্যতিক্রমী এক মিলন মেলায় মেতে উঠেন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে উভয় দেশে বসবাসকারী বাংলাভাষীরা দীর্ঘ এক বছর পর পরস্পরের স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন। বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পরই আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হয় বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষের। ভৌগলিক সীমা রেখা অতিক্রম করতে পাসপোর্ট ও ভিসার অভাবে যারা যাতায়াত করতে পারে না তাদের লক্ষ্য থাকে এ দিনটিকে ঘিরে। প্রতি বছর নববর্ষের দিন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্তে সেই মানুষদের দেখা সাক্ষাতের সুযোগ হয়। দুই দেশের বাংলাভাষী আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের ৭৪৪ নং মেইন পিলার এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন। বিজিবি ও বিএসএফের সবুজ সঙ্কেতে সকাল ১১টায় এ অপেক্ষার অবসান ঘটে। সবাই ছুটে যান কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। এপাশ থেকে ওপাশে বছর ধরে দেখা না হওয়া স্বজনদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় মেতে উঠেন। একে অপরের সঙ্গে করেন কুশল বিনিময়। অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুঁড়ে দেন ছোটখাটো নানা উপহার সামগ্রী। প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগমে সেখানে অন্য রকম এক পরিবেশ তৈরি হয়। দুপুর ৩ টায় দুই দেশের মানুষের এ মিলন মেলার সমাপ্তি ঘটে। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে দুই দেশের বাসিন্দারা সন্তোষ প্রকাশ করে আরো বেশি সময় ধরে এ সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।