স্টাফ রিপোর্টার : বাইশ বছর আগে বহুল আলোচিত আনসার বিদ্রোহের পর চাকরিচ্যুত ২শ ৮৯ জনের মধ্যে যাদের সরকারি চাকরির বয়সসীমা রয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তাদের শুধুমাত্র পেনশন সুবিধা (যতদিন চাকরিতে ছিল ততদিনের) দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের বেঞ্চ গতকাল এ রায় দিয়েছেন। আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো: জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা।
ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পুনর্বহাল হওয়া ব্যক্তিরা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে বেতন পাবেন।
১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে বিদ্রোহের রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পলাতক হয়। পরে মোট ২ হাজার ৬শ ৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কর্মকর্তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হন। বাকি ২ হাজার ৪শ ৯৬ জন আনসার সদস্যকে অ-অঙ্গীভূত(চাকরিচ্যুত) করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়।
এরমধ্যে একশ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পায়। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়নি। এ কারণে রুহুল আমিন, মোজাম্মেল হকসহ ২৮৯ জন চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন।