পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলকভাবে পালনের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, হাইকোর্টের সামনে থেকে জাতীয় আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধবিরোধী গ্রিক দেবীমূর্তি অপসারণ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী ওলামায়ে কেরামের কাছে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক দল জাসদের সভাপতি ইনুসহ পতিত বাম-রামরা এখন এসব নিয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তা শুরু করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। প্রকৃতপক্ষে ইনুরা হলো ফ্যাসিবাদী সমাজতন্ত্রী হিটলার-মুসোলিনির বঙ্গীয় উত্তরসূরি। এরা উগ্র সমাজতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। এরা ক্ষমতালোভী, ইতিহাসের বাতিল বাম-আবর্জনা। এরা ক্ষুদ্রসংখ্যক, নগণ্য। এদের অন্তরে মেজরিটির ভয় কাজ করে, ফলে তারা প্রলাপ বকছে, হেফাজত আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সম্পর্কে অরুচিশীল ভাষায় কট‚ক্তি করছে। এরা উগ্র ও অভদ্র।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের গণেশপূজার অংশ। হিন্দু পুরাণের দেব-দেবীর বাহনের মূর্তি নিয়ে এই শোভাযাত্রা হয়ে থাকে, যেমন : কার্তিকের বাহন ময়ূর, হিন্দু দেবী সরস্বতীর বাহন হাঁস, ল²ীর বাহন পেঁচা। এছাড়া প্রাচীনকালের মতো শয়তানের উপাসনাস্বরূপ অমঙ্গলের প্রতীক কল্পিত রাক্ষস-খোক্কসের মুখোশ পরিধান করে সেগুলোকে সন্তুষ্ট করা হয়, যাতে শয়তান কোনো অমঙ্গল না ঘটায়। এই শোভাযাত্রায় এভাবে নতুন বছরে মঙ্গল কামনা করা হয়। সুতরাং এই পৌত্তলিক শোভাযাত্রা নিঃসন্দেহে মুসলমানদের ঈমান-আকিদার বিরোধী। মুসলমানরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই মঙ্গল কামনা করেন, দোয়া করেন। এর অন্যথা হলে সেটি অবশ্যই শিরক বলে গণ্য হবে। আর শিরক আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমার অযোগ্য কবীরা গুনাহ। যেসব মুসলমান এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয় এবং নেবে, তাদের ঈমান থাকবে না। বৃহত্তর তৌহিদী জনতার ঈমান-আকিদা রক্ষার স্বার্থে তিনি সরকারকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিলের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অঙ্গীভূত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ঈমান-আকিদা ও তাদের মুসলিম জাতিসত্তার আত্মপরিচয়কে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই পয়লা বৈশাখের মতো একটি জাতীয় উৎসবের সাথে পৌত্তলিক শোভাযাত্রাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরবর্তী সময়কালেও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো সম্পর্ক ছিল না। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’ নামে এটির প্রথম সূচনা ঘটে। এরপর নব্বই-এর দশকে এসে সেটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ধারণ করে। ব্রাহ্মণ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও মঙ্গলসঙ্গীত ইত্যাদি হিন্দুদের পৌত্তলিক ধর্মাচারকে তথাকথিত হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ও সার্বজনীনতার বিভ্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার ওপর চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপক অপচেষ্টা চলছে। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সচেতন হওয়ার আহŸান জানান। আসন্ন পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বর্জন করুন। তিনি সকলের প্রতি নিজের ঈমান-আকিদা রক্ষায় সচেষ্ট হবার আহŸান জানান। অন্যথায় ঈমান-আকিদা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সকলে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বেন এবং পরিণামে আল্লাহর আজাব-গজব থেকে কেউই রেহাই পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।