পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : সম্প্রতি অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার হাওর দ্বীপ খ্যাত খালিয়াজুরী উপজেলার বেশিরভাগ তলিয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া (কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট) বন্ধ হয়ে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর মাদরাসা পাড়ার সুরুজ আলী ছেলে জামির আলী (৬০) চলতি বোরো মৌসুমে ৫ একর জমিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বোরোর আবাদ করেছিল। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও সময়মতো সঠিকভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শতভাগ ফসল তলিয়ে গেছে। এতে সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় সোমবার থেকে তার বুকে হঠাৎ ব্যথা অনুভব হয়। এ ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকলে গত বুধবার ভোরে তাকে সিলেট জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর ওই রাতেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে একই ইউনিয়নে কল্যাণপুর গ্রামের হাজী চান মিয়ার ছেলে আরব আলী (৭০) স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ এনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে ৮ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার সমস্ত ফসল পানিতে তলিয়ে যাবার কারণে তিনি মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। গত বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে গরুকে খাবার দেয়ার সময় হঠাৎ তার বুকে প্রচÐ ব্যথা অনুভব হয়। তিনি কয়েকবার বমি করেন। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের লোকজন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছেন বলে স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।