পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারের ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ ও সউদি আরবের ই-হজ সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে সরকার ২০১৬ সন থেকে ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে। একই ধারাবাহিকতায় ই-হজ সিস্টেমে ২০১৭ সনের হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অনুমোদিত হজ এজেন্সিসমূহ, সারাদেশের ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রসমূহ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও কেন্দ্রীয় অফিসসমূহ, অনুমোদিত ব্যাংকসমূহ, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ ৭,০০০ এর অধিক ইউজার সরাসরি এই সিস্টেমে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হজ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড হওয়ার ফলে হজ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সারা বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। ওয়েবসাইটে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য হালনাগাদ বা কল সেন্টার সেবার মাধ্যমে তথ্য প্রদানের ফলে বিশেষ কোন মহলের পক্ষে হজযাত্রীদের প্রতারণা করে অবৈধ ফায়দা গ্রহণের সুযোগ কমে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অংশ হিসেবে ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে এবং প্রতারণা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স¤প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে ই-হজ ব্যবস্থাপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
হজের প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে ব্যাংক সার্ভারে প্রাক-নিবন্ধনের ফি ও জামানতের টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করলেই উক্ত সময়ের খালি ক্রমিক নম্বরটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রাক্-নিবন্ধনকারীকে প্রদান করা হয়, যা ২০১৬ সনের মার্চ থেকে বিদ্যমান। চলতি বছর হজের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হওয়ার পূর্বে হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সহ একটি কারিগরি দল প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমটি কারিগরিভাবে ত্রæটিমুক্ত হিসেবে প্রত্যয়ন করে। গত ২২ ফেব্রূয়ারি ২০১৭ প্রাক-নিবন্ধন শেষে বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে যে, প্রাক-নিবন্ধনের কারিগরি প্রক্রিয়ায় সকলের জন্য সমান সুযোগ ছিল এবং এ সিস্টেমে কাউকে কোনো বিশেষ সুযোগ দেয়ার অবকাশ ছিল না। কিন্তু প্রাক-নিবন্ধনের এক পর্যায়ে এসে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর পক্ষ থেকে প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে কারিগরি অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রনালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর একজন সিনিয়র অধ্যাপকসহ কারিগরি বিশেষজ্ঞগণ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সিস্টেমে কোনো কারিগরি অনিয়মের সত্যতা পায়নি। এছাড়াও ৩২ টি হজ এজেন্সি কর্তৃক হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (৩০০৭/২০১৭) দায়ের করে। হাইকোর্টের শুনানি চলাকালে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পিটিশনের প্রতিটি বিষয় ও হজ এজেন্সিসমূহ এবং আদালতের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে যাবতীয় দালিলিক প্রমাণক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। শুনানিতে হজ এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থাপিত দালিলিক প্রমাণকসমূহের সত্যতা খÐন করতে সক্ষম হয়নি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট সন্তুষ্ট হয়ে রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও আদালতের শুনানির প্রেক্ষিতে এ কথা প্রমাণিত হয় যে, ২০১৭ সালের হজে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।