পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কওমী মাদরাসা সনদের এমন স্বীকৃতি বেগম জিয়াও দিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তখন একটি গেজেটও প্রকাশিত হয় এবং এর ভিত্তিতে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কওমী সনদের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাও শুরু করে কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি। বর্তমানে এম একটি ঘোষণার ফলেই কওমী শিক্ষার্থীরা উচ্ছ¡সিত। কিন্ত তারা জানে না যে এ ঘোষণা বাস্তবায়নে আরো কী প্রয়োজন। কতগুলো স্তর পার হয়ে এটি মন্ত্রিসভা, সংসদীয় কমিটি ও শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে আইন আকারে পাস হয়ে কার্যকর হতে পারবে। অথচ এ মৌলিক ঘোষণাটির জন্য দেশের শীর্ষ কওমী আলেমরা আল্লামা শফী’র নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যেতে পেরে উল্লসিত। এরপর থেকে গ্রিক দেবী এ নববর্ষে শিরক অপসংস্কৃতি ভরা নানা পাপাচারের নিন্দা প্রতিবাদের ক্ষেত্রেও আল্লামা শফী নীরবতা পালন করছেন। তিনি যখন সনদের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে নানা জায়গায় বক্তৃতা দিচ্ছেন, তার এ ঘোষণাকে ঐতিহাসিক বলে প্রশংসা করছেন তখন প্রধানমন্ত্রী মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই বলে এর বিধর্মীয় সকল আচার অনুষ্ঠানকে নির্দেশ আখ্যায়িত করে বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায় দেশের সকল বাম, নাস্তিক ও অপসংস্কৃতিবিদ একসূরে মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে ফতওয়া দিতে শুরু করেছেন। তারা গ্রিক দেবী ও কওমী সনদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের নগ্ন সমালোচনায় মেতে ওঠেছেন। আল্লামা শফীসহ কওমী আলেম সমাজকে তারা সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী বলে গালাগাল শুরু করেছেন। এসব কথার কোন জবাব বা ইসলামী বিধান বর্ণনায় আল্লামা শফী সম্পূর্ণ নীরব। সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগ মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে সঠিক মাসআলা বর্ণনা করে বিবৃতি দিয়েছে।
গতকাল এক বিবৃতিতে ওলামা মাশায়েখ ফোরাম সভাপতি মুফতি মাওলানা হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বিস্ময় ও দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, স্বীকৃতির বাস্তবায়ন না করেই শুধু মৌখিক ঘোষণা শোনার জন্য আল্লামা শফী তার লোকজনসহ গণভবনে গিয়ে নিজের ওজন ও গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করেছেন, সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফলে এখন তিনি কথা বলতে পারছেন না। ইসলামী বিষয়ে এখন তার মুখবন্ধ আর কথা বলছেন ক্ষমতাসীন নেতা-নেত্রীরা। ধর্ম ও শোভাযাত্রার বিষয়ে ফতওয়া দিচ্ছেন মন্ত্রিরা। আলেম সমাজের এ অদূরদর্শি উদ্যোগ ইসলাম ও মুসলমানের জন্য মহাবিপদের অশনি সঙ্কেত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।