পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা-কলকাতা রেলপথের মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ থেকে পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ান্ত্রত হচ্ছে। যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ট্রেনটিতে আর কোনো সাধারণ শ্রেণি থাকছে না।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মৈত্রী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনে যাত্রীচাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোঃপূর্বে এর সার্ভিস বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এবার পুরো ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ট্রেনটি পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হওয়ার পর এর যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়। শুরুতে এই ট্রেনে যাত্রী পাওয়া যায়নি। তখন অনেকটাই যাত্রীশূন্য অবস্থায় যাতায়াত করত ট্রেনটি। প্রথম দিকে এই ট্রেনের যাত্রীদেরকে ইমিগ্রেশনের নামে হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন তা অনেকটাই কমেছে। এমনকি ইমিগ্রেশন পদ্ধতি আগের তুলনায় অনেকটা সহজ করা হয়েছে।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, মৈত্রী ট্রেন বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিন চলাচল করে। তারপরেও এই ট্রেনের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগেই থাকে। দিন যতো যাচ্ছে মৈত্রীতে যাত্রীর চাপ ততো বাড়ছে। সে কারণেই এর যাত্রী সেবার মান ও আসন সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ থেকে এই ট্রেনে চারটি এসি বার্থ, চারটি এসি চেয়ার এবং দুটি এসি পাওয়ার কোচ যুক্ত হবে। এতে করে যাত্রী ধারণক্ষমতা দাঁড়াবে ৪৫৬জন। এর আগে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে চারদিন চলাচল করত। যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহে চারদিন বাড়িয়ে ছয় দিন করা হয়।
ঢাকা-ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার চিতপুর পর্যন্ত চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি শনি, রোব, বুধ ও শুক্রবারে সকাল সোয়া ৮টায় ছেড়ে যায়। ৩৯৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি চিতপুরে পৌঁছায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রাপথে রোববার ও শুক্রবার ট্রেনটি চলে বাংলাদেশের ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কোচ দিয়ে। বাকি দু’দিন থাকে ভারতীয় কোচ। অপরদিকে, শনি, সোম, মঙ্গল ও শুক্রবার ট্রেনটি কলকাতার চিতপুর থেকে ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায় বিকেল ৬টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি শনিবার ও সোমবার চলে বাংলাদেশি কোচ দিয়ে। বাকি দু’দিন চলে ভারতীয় কোচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।