পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম নগরের অবস্থিত একটি স্কুলের বিরুদ্ধে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে পটিয়া উপজেলার অর্ধশত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ প্রদানকালে উপজেলার ২২ ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশত প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন এলাকায় চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকার নিবন্ধিত চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজস্ব পরিবহনে নগরের শিক্ষার্থীদের পটিয়ার হরিণখাইন ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে পাঠদান করা হয়। পরে তারা জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে আসে। চট্টগ্রাম চিটাগাং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের হরিণখাইন আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন দেখিয়ে গত কয়েক বছর যাবৎ পটিয়া উপজেলা কেন্দ্রের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার মাধ্যমে জালিয়াতি করে বৃত্তি লাভ করে আসছিল। এতে গত ২০১৬ ইং সালে ঘোষিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে ১৬ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ৫০ জন সাধারণ গ্রেডে মোট ৬৬ জন বৃত্তি লাভ করে। পটিয়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের এ ধরনের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছেন। পরে শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ২০১৪ সালে উক্ত স্কুলের এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়। ফলে গত ২ বছর ধরে উক্ত স্কুলের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল আলাদাভাবে প্রকাশ করে। এতে ২০১৫ সালে উক্ত স্কুল থেকে মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে সম্প্রতি প্রকাশিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে পুনরায় নগরের জামালখান এলাকার চিটাগাং আইডিয়াল স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল পটিয়া উপজেলার বৃত্তি তালিকায় প্রকাশ করে। এতে পটিয়া উপজেলার ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাই উক্ত স্কুলের ফলাফল আলাদাভাবে পুনরায় প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।