পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গারা দেশে কওমী মাদরাসাকে স্বীকৃতি প্রদানের বর্তমান সরকারের ঘোষণা ধোঁকা বলে অভিহিত করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ২০০৬ সালে কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের সরকার দিয়েছিল। সেটা গ্যাজেট নোটিফিকেশনও হয়েছিল। গতকাল বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন অভিযোগ করে বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভ‚তিকে এক্সপ্রয়েট করার জন্য শেখ হাসিনা ভারত সফরের আগে আলেম সম্মেলন করেন। ফিরে এসে গতকালই (মঙ্গলবার) আবার হেফাজতে ইসলাম প্রভাবিত কওমী মাদরা ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলেমদের সঙ্গে তাদের আচরণ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আঘাতের কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি।
এখন তিনি (শেখ হাসিনা) ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন। অতীতেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার লক্ষে দেশে ইসলামী শরিয়তী আইন চালুর জন্য একই ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এখন কওমী মাদরাসা সনদকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলে ধোঁকা দিচ্ছেন।
একই সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রিক মূর্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খালেদা জিয়া বলেন, দেখেন এখানে এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের কারো সঙ্গে কথা হয়নি। কেউ এসে আমাদেরকে এই মূর্তি নিয়ে কথা বলেনি। কাজেই কী কথা হয়েছে তার মধ্যে, আমরা জানি না। এটা আমার ব্যাপার নয়, এটা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। তাদের পবিত্রতার ব্যাপার। সেখানে প্রধান বিচারপতিই সবকিছু। কাজেই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব এটা, উনি কী করবেন, না করবেন সেটা।
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবং মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য দলের অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন খালেদা জিয়া। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে কওমী মাদরাসার উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমাদের সরকার দায়িত্বে থাকার সময় মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের সরকার দিয়েছিল। সেটা গ্যাজেট নোটিফিকেশনও হয়েছিল।
পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর করা হয়। গত ১১ বছরে মাদরাসাবিরোধী সরকারগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বিষয়টি আর এগুতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।