পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক অজয় রায় বলেছেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। অথচ কয়েকটি সংগঠন ধর্মকে পুঁজি করে নারীকে কেবল রান্নাঘরের জীব হিসেবে আর রাতে পুরুষের সঙ্গী হিসেবে পেতে চায়। এই মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে বর্ষীয়ান এই শিক্ষক বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে যতই অসা¤প্রদায়িকতার কথা বলুক, সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোকে হেফাজতিকরণ করা হয়েছে। ছাড় দিয়ে পাঠ্যপুস্তকগুলো হেফাজতে ইসলামের চাহিদামতো ছাপানো হলো, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের গ্রিন সিগন্যাল না এলে বাক্যও ছাপানো হয় না। গতকাল ‘নারীর জন্য নিরাপদ হোক পয়লা বৈশাখ’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ব্রতী কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এনজিও ব্যাক্তিত্ব মুনিরা খান, শারমিন মুর্শিদ প্রমুখ।
অজয় রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য সরিয়ে নিলে এর বিরুদ্ধে তরুণ শক্তিকে আন্দোলনে নামতে হবে। ভাস্কর্যটি ন্যায়ের প্রতীক, এটা কোনো সাধারণ মূর্তি নয়। এটি থাকার প্রয়োজন আছে কি নাÑসে সিদ্ধান্ত আদালত নেবে। তিনি আরো বলেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়Ñ এটি হেফাজতকে বোঝাতে হবে। তরুণ সমাজকে বোঝাতে হবে, যেখানে-সেখানে ধর্মের নামে সংস্কারমূলক কথাবার্তা বা কাজ চলবে না। অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের সব জায়গাতেই নারীরা সহিংসতা, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মেয়েরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন। দুই বছর আগে পয়লা বৈশাখের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। মেয়েরা এখন বাইরে গিয়ে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত পরিবারকে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থা রেহাই পেতে সরকার-প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।