পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের ঘোষণায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন। মূর্তি অপসারণের ন্যায় পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনে স্কুল-কলেজে বা মুসলমানদের বাধ্য করা যাবে না বরং বাতিল করা হবে এ ঘোষণাও দেশের সব মুসলমান আশা করে। কারণ পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ‘মঙ্গলপ্রদীপ, মঙ্গলাচরণ, মঙ্গল কাব্য প্রতিটি অনুষ্ঠানিকতা পুরোপুরি হিন্দুদের বিশ্বাসের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। এটা মুসলমান বা বাঙালি সংস্কৃতি নয়। হিন্দুদের মতে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে। তাই হিন্দুরা অশুভ তাড়াতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে তথা জন্মাষ্টমীতে প্রতিবছর সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। অন্যদিকে মঙ্গলকাব্য হলো হিন্দুদের দেবদেবীর গুণকীর্তণ। তাই প্রতিটি মঙ্গলকাব্যে একেকজন দেবতার গুণকীর্তণ করা হয়েছে। এরা লৌকিক দেবতার সঙ্গে পৌরাণিক দেবতার সংমিশ্রণে সৃষ্ট বাঙালি হিন্দুদের নিজস্ব দেবতা। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করা মুসলমানদের জন্য হারাম। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আখতার হুসাইন বুখারি, কার্যকরি সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা শওকত আলী শেখ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, মাওলানা তাজুল ইসলাম একযুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ হিন্দু স¤প্রদায়ের বিভিন্ন ধরনের পূজা ও উৎসবের দিন। এগুলো হলোÑ হিন্দুদের ঘটপূজা, গণেশ পূজা, সিদ্ধেশ্বরী পূজা, চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চণা, মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব, চাকমাদের বিজু উৎসব (ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজা উৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি), হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা, মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ, হিন্দুদের বউমেলা, হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা, হিন্দুদের সূর্যপূজাসহ বিধর্মীদের বিভিন্ন পালনীয় বিষয় রয়েছে। এদিনে মুসলমানদের কোনো বিষয় নেই। তাই এদিন কোনো মুসলমান পালন করলে তার মুসলমানিত্ব ও ঈমান থাকবে না। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা বর্জন করতে হবে এবং অন্যদের বর্জন করতে বলতে হবে ঈমান রক্ষায়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বিধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করলে তা কুফরি শিরক, আর শিরক সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না, যে শিরক করে। এ ছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের সাথে শিরক করে, সে সুষ্ঠু গোমরাহিতে পতিত হবে। (সূরা নিসা : আয়াত ১১৬)
পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছেÑ‘হজরত আমর বিন শুয়াইব উনার পিতা থেকে এবং তিনি উনার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ পাক হুজুুর পাক (সা:) ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।’ (মিশকাত শরীফ)
কুরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি সদ্বীন ইলম ব্যতীত অন্য দ্বীন তালাশ করবে বা গ্রহণ করবে, সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তথা জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হবে। নাউযুবিল্লাহ! (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ৮৫)। বিবৃতিতে তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের মুসলমানদের বাধ্য করা যাবে না বরং অবিলম্বে তা বাতিল করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।