Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এরশাদের দুর্নীতির মামলায় আপিলের রায় ৯ মে

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপহার দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতে তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও সরকারের আপিলের রায় আগামী ৯ মে। গতকাল বুধবার উভয় পক্ষের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। ওই দিন দুই যুগ পুরনো এ মামলার রায় ঘোষণা করবে। আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদÐ দেয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষ হলে ২৩ মার্চ রায়ের দিন রাখা হয়। কিন্তু এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে বিচারপতি মামলার সব ফাইল পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির কাছে। পরে প্রধান বিচারপতি তিনটি আপিল একসঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য নতুন একটি বেঞ্চে পাঠান। গতকাল শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। সাবেক প্রেসিডেন্টে এরশাদ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের মর্যাদায় রয়েছেন। এরশাদ আট মামলার মধ্যে চারটির কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। মঞ্জুর হত্যাসহ তিনটি মামলা বর্তমানে চালু রয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৫৫ পিএম says : 0
    জাপার সভাপতি এরশাদ প্রকৃতই একজন দূর্ভাগা; তিনি আওয়ামী লীগকে ’৯৬ সরকার গঠনে সহায়তা করেন আবার ’১৪ নির্বাচনে যোগ দিয়ে নির্বাচনকে বৈধ্যতা দান করে। এভাবে দুইবার এএলকে ক্ষমতায় আসার মধ্যম হিসাবে কাজ করার পরও এরশাদ কোন রকম পুরুষ্কার পেল না এএল থেকে। এএল চাইলে এরশাদের মামলা গুলো রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য মূলক তাই খারিজ করে দিতে পারত। এখন দেখা যাক ৯ মে রায় কি হয়???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ