পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বায়বীয়’- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নয়, খালেদা জিয়ার বক্তব্যই বায়বীয়। তার ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক হয়েছে, তার সবগুলো জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণেই হয়েছে। এগুলো জনগণের কাজেই লাগবে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই খালেদা জিয়া তার এই ভারত সফর নিয়ে সমালোচনা করছেন। তবে দেশের মানুষও এতটা বোকা নয়, যে তাদের বিভ্রান্তিকর কথায় ভুলে যাবে।
‘হাসিনা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন’- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, তিনি ধর্ম পালন করেন, ধর্ম মান্য করেন। কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন না। আওয়ামী লীগ নয়, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বিএনপি ও খালেদা জিয়াই করেন। মুখে বিসমিল্লাহ বলে তারা মিথ্যা কথা বলেন, ধর্মকে তারাই ব্যবহার করেন।
বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে ‘চোখ থাকতেও অন্ধ’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছেন, জনগণকে না-কি সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি করা হয়েছে। অনেকগুলো চুক্তিই মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন নিয়ে করা হয়েছে। তাদের মতো চুপকে চুপকে করা হয়নি। খালেদা জিয়ার অবস্থা হয়েছে চোখ থাকতেও অন্ধ। কেউ যদি চোখ থাকতেও অন্ধ হন- তাহলে বলার কিছু থাকে না।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার প্রশ্নে খালেদা জিয়ার সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা না-কি তিস্তার পানি আনতে পারিনি। তিনি ক্ষমতায় থাকতে কেন তিস্তার পানি আনতে পারেননি, তার জবাব আগে দিক। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চাইতে ভুলে গিয়েছিলেন। স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন ও সমুদ্রসীমার অধিকার আদায়ের কথাও তুলতে সাহস পাননি। তারা এতই তোষামোদি, খোসামোদি ও পদলেহনে ব্যস্ত যে- দেশের মানুষের ন্যায্যহিস্যা আদায়ের কথা তুলতেও পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) ভারত সফরে দেশবাসী না-কি কিছুই পায়নি। এই সফরকালে চুক্তি ও সমঝোতা অনুযায়ী ভারত থেকে যে গ্যাস, এলএনজি ও বিদ্যুৎ- তা কী তিনি একা ভোগ করবেন? না-কি দেশবাসীর কাজে লাগবে?
বৈঠকের শুরুত সফল ও ফলপ্রসূ ভারত সফর এবং ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলনের সফল সমাপ্তিতে দলের পক্ষে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়। দলের পক্ষে এ সংক্রান্ত দু’টি অভিনন্দন বার্তা পড়ে শোনান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি তার একার কৃতিত্ব নয়। আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অর্জন। এজন্য দেশের জনগণকেও ধন্যবাদ জানাই।
এরপর গতকাল বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে খালেদা জিয়ার সমালোচনা ও নানা অভিযোগেরও বিস্তারিত জবাব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে খালেদা জিয়া বলেছেন ‘বায়বীয় বন্ধুত্ব’। তার ভারত সফর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, এর আগে মনমোহন সিংহের সফর, স্থল সীমানা চুক্তি- এগুলোর সবই কী বায়বীয়? বায়বীয় শব্দের ব্যাখ্যা কী, তার কাছে জানতে চাই।
‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি মোস্তাক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত। আর জিয়াউর রহমানও যে এই হত্যায় জড়িত, সেটিও প্রমাণ হয় তখনই যখন মোস্তাক একদিনের মাথায় জিয়াকে সেনাপ্রধান করেন। রক্তের সিঁড়ি বেয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়েছেন। নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে তিনি হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যা করেছেন। তার সময়ে ১৯ বার ক্যু হয়েছে। প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।