পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে ঃ বগুড়ার পূর্বপ্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা পাড়ে বসেছে বারুনী মেলা। প্রতি বছরের ন্যায় দুই দিন ধরে চলা এই মেলায় ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ। কেনা-কাটায় ব্যস্ত সবাই। মেলাকে ঘিরে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ঈদের আমেজ!
পূর্ব বগুড়া’র ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী হাইস্কুল মাঠে বারুনী মেলা জমে উঠেছে। মেলায় মাটির হাঁড়ি পাতিল, তাল পাতার পাখা, মিষ্টি, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী কেনাকাটা করছে ক্রেতারা। বারুনী মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের মশলার সমাহার। মেলায় নাগরদোলা, চরকি, হোন্ডা খেলা দেখতে শিশুদের ভিড় লক্ষণীয়। ওই এলাকা এবং আশে পাশের লোকজন তাদের মশলার বার্ষিক চাহিদার পুরোটা সংগ্রহ করে এই মেলা থেকে। মেলা উপলক্ষে পাশের রুঘুনাথপুর, মরিচতলা, দোয়াতপাড়া, শিমুলবাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের সমাগমে ভরে উঠেছে এলাকা। ভান্ডারবাড়ী গ্রামের আব্দুল বারী জানান, দাদার কাছ থেকে গল্প শুনেছি-ছোট বেলায় তিনিও বারুনী মেলাতে যেতেন। তিনি শুনেছেন প্রায় দেড়শ’ বছর আগে থেকেই ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত ভুতবাড়ী গ্রামের এই বারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হতো। মেলা অনুষ্ঠানের দিন ভোরে পাঁঠাবলির মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হতো বলে জানিয়েছেন বানিয়াজান গ্রামের আনন্দকুমার। তিনি আরও জানান, যমুনার ভাঙ্গনে ভুতবাড়ী গ্রাম বিলীন হওয়ার পর এখন ভান্ডারবাড়ী হাইস্কুল মাঠে মেলা লাগে। মেলার পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, মেলা মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনে নারী-পুরুষ সব ধরনের ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসেন। দ্বিতীয় দিনে ক্রেতা শুধু নারীরাই। তাই অনেকে বারুনী মেলার শেষ দিনকে ‘‘বউ মেলা’’ হিসেবেও চিত্রিত করে থাকেন।
গোদাগাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বীজ সার বিতরণ
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উফশী আউশ ও নেরিকা আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার সময় এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসহাক, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. মনিরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ নেওয়াজ, উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিকুর রহমান, গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি হিপজুল আলম মুন্সি, রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু, গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, উপজেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য মো. রবিউল আলম, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী, গোদাগাড়ী শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আলী পিন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে দুই হাজার ৭৩০ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পাঁচ কেজি বীজ ৪০ কেজি করে রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া উফশি আউসের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে সেচের জন্য ৪০০ টাকা এবং নিড়ানি দেয়ার জন্য ৪০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।
কয়রায় লবণ সহনশীল ব্রি ধানের ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন
কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার উদ্যোগে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার সহযোগিতায় লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি ধান-৬৭ এর বøক প্রদর্শনীর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার মহারাজপুর মাঠে ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টটিউট গাজিপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তমাল লতা আদিত্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ড. মো. হারুনর রশিদ, কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বদিউজ্জামান। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম মিজান মাহমুদ, খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম বাচ্চু, উদ্ভিদ সংরক্ষক অফিসার মো. আতিয়ার রহমান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. আয়ুব আলী, মো. ফারুক হোসেন, সুপার মাওলানা মিজানুর রহমান, স্থানীয় কৃষক আ: গফফার, গাজী ফারুক হোসেন, জিয়াদ আলী মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষকরা জানায়, এ বছর প্রথম লবন সহনশীল ব্রি-৬৭ ধান চাষ করে তারা বিঘা প্রতি ২১ মণ করে ধান উৎপাদন করতে পেরেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।